দ্বিতীয় হুগলি সেতু নয়, ভারী যান চলাচল করবে রোরো ভেসেলের মাধ্যমে ...
আজকাল | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ভারী যান চলাচলের চাপ কমাতে পরিবহন দপ্তর তৈরি করল আরও একটি রোল-অন রোল-অফ বা রোরো ভেসেল। শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই রোরো ভেসেল চালানো হবে। আগামিদিনে পণ্যবাহী ভারী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন দ্বিতীয় সেতু দিয়ে না নিয়ে গিয়ে এর মাধ্যমে দ্রুত গঙ্গা পার করানো হবে। সোমবার রোরো ভেসেলের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
কী এই রোরো ভেসেল পরিষেবা ? পরিবহনমন্ত্রীর কথায়, দিন-দিন দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে গাড়ির চাপ বাড়ছে। আগামী দিনে বিকল্প পথের চিন্তাভাবনা করেই এই রোরো ভেসেল চালু করা হচ্ছে। একসঙ্গে ৬টি ভারী ট্রাক ও ৫০ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবে। তবে আসন্ন গঙ্গাসাগরে মেলার জন্য আপাতত সাগরে নিয়ে যাওয়া হবে রোরো। মেলা শেষ হলে শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত এই ভেসেল চালানো হবে। এজন্য ইতিমধ্যেই দু'টি জায়গায় জেটিঘাট তৈরির জন্য চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। কারণ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর গাড়ির চাপ ক্রমশ বাড়ছে। অনেক সময় যানজট হচ্ছে। পরিবহন দপ্তর এই মুহুর্তে রোরো সার্ভিসের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। রোরো ভেসেলে করে বড় ট্রাক, গাড়ি গঙ্গা পারাপার করতে পারবে। এরপর রায়চক থেকে কুকরাহাটি পর্যন্ত রোরো পরিষেবা চালু করবার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী। এই বিশেষ ভেসেলের মাধ্যমেই জলপথ পরিবহনে গতি আনতে চাইছে সরকার। প্রথম ধাপে শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত উদ্বোধন হয়ে গেল সোমবার। আগামী দিনে আরও একাধিক ভেসেল তৈরির চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। দ্বিতীয় ধাপে পূর্ব মেদিনীপুরের কুকুরাহাটি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়চক পর্যন্ত। মূলত দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ভারী যান চলাচলের চাপ কমাতে বিকল্প পরিবহনের ভাবনা রাজ্য পরিবহন দপ্তরের। সেই মতো রোরো ভেসেলের মাধ্যমে পণ্যবাহী ভারী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন দ্রুত গঙ্গা পার করানো হবে। উল্লেখ্য হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্র সেতুর উপর চাপ কমাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতু চালু হয় ১৯৯২ সালে। এবার দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর চাপ কমাতে রোরো পরিষেবা চালু রাজ্য সরকারের।