এই সময়, শিলিগুড়ি: লাগাতার স্নোফলের জের। এক দিনে ১৯৮৯ জন পর্যটক বেড়াতে গেলেন উত্তর সিকিমে। সিকিম পর্যটন দপ্তরের হিসাব, গত ২২ ডিসেম্বর মঙ্গন থেকে পারমিট সংগ্রহ করে ওই পর্যটকেরা উত্তর সিকিমের লাচুং এবং লাগোয়া এলাকায় বেড়াতে যান। গত বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে লাগাতার তুষারপাত চলছে লাচুং এবং লাচেনে।
ধস নামায় লাচেনে বেড়াতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লাচেনে বেড়ানোর জন্য পারমিট দেওয়া হচ্ছে না। তাতে কী! লাচুং তো খোলা। সুতরাং সকলের গন্তব্য এখনও লাচুং এবং লাগোয়া এলাকায়। লাচুং থেকে পর্যটকেরা ইয়ুমথাঙ এবং জিরো পয়েন্ট যেতে পারেন।
নভেম্বর মাস থেকে জিরো পয়েন্টে টানা স্নোফল চলছে। ইয়ুমথাঙ থেকে কাটাও যাওয়া যায়। সেখানেও বহু পর্যটক যান। পর্যটন দপ্তরের হিসাব, যে ১৯৮৯ জন পর্যটক লাচুংয়ে গিয়েছেন, তার মধ্যে ১৭৭৬ জন দেশীয় পর্যটক। মহিলা ৫৬৮ এবং শিশু ১৩৭ জন।
এদের বেশির ভাগই অনলাইনে আগেই পারমিটের জন্য আবেদন করে রেখেছিলেন। বাকিরা মঙ্গনে গিয়ে আবেদন জানান। বিদেশি ৩১২ জন। বাংলাদেশিদের যেহেতু ভারতে ঢোকার ভিসাই দেওয়া হচ্ছে না, ফলে এই বিদেশিদের বেশির ভাগই ইউরোপ এবং অন্য দেশের।
গত বছরের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে একদিনে এত বেশি সংখ্যক পর্যটকের উত্তর সিকিমে বেড়াতে যাওয়া রেকর্ড। সিকিম পর্যটন দপ্তরের অনুমান, মূলত দু’টি কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এক নম্বর লাগাতার স্নোফল। দ্বিতীয় কারণ, সিকিম নিয়ে ভয় কাটছে পর্যটকদের। পাশাপাশি, বড়দিনটি স্নোফলের অভিজ্ঞতায় কাটাতেই উত্তর সিকিম যাত্রা।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যটকদের এই ভিড় কেবল উত্তর সিকিমেই নয়, দার্জিলিং এবং পূর্ব সিকিমেও। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য কল্পক দে বলেন, ‘প্রথম দিকে পর্যটকদের এই ভিড় বোঝা যায়নি। স্কুলগুলোতে বড়দিনের ছুটি পড়ার পরে ভিড়টা বোঝা গেল।’