এই সময়: ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখটা নেহাত ডিসেম্বরের ২৪ বলেই হয়তো গায়ে একটা সোয়েটার বা হালকা একটা জ্যাকেট চাপিয়ে রাখছেন অনেকে। যত না ঠান্ডা থেকে বাঁচতে, তার চেয়ে বেশি মনে হয় ডিসেম্বরের শেষ বেলাকে সম্মান জানাতে।
মাসের শুরুর দিকে যে আশা জাগিয়েছিল শীত, কয়েকটা দিন গড়াতেই ভারতীয় টেস্ট টিমের মিডল অর্ডারের মতোই সেই আশা ধসে গিয়েছে। এ বার কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের একটাই প্রশ্ন— ঠান্ডা আদৌ পড়বে তো? পড়লে কবে?
শহরের সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই কখনও ঘামে গেঞ্জি ভিজে যাচ্ছে, আবার কখনও ঠোঁট ফাটছে। বছরের শেষ সপ্তাহটা এমনই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় কাটাতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
উত্তর–পশ্চিম ভারতে তৈরি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ঠান্ডা এবং শুকনো হাওয়ার প্রবেশ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্যই এমন অবস্থা উত্তর ভারতের সমতল থেকে শুরু করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকার। ওই ঝঞ্ঝার জন্যই বড়দিনের বাজারেও শীত একরকম গায়েব। সকালে আলতো রোদে পিঠ রেখে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া বা সন্ধেয় জমিয়ে কফি খাওয়ার সেই আমেজটাই নেই।
বছরের বাকি দিনগুলোয় সেই আমেজ ফেরার সম্ভাবনা বিশেষ দেখছেন না আবহবিদরা। জানাচ্ছেন, ঝঞ্ঝার প্রভাব পুরোপুরি কাটিয়ে ফের শীতের আমেজ পড়বে, তবে সেটা হতে হতে ইংরেজি নববর্ষ হয়ে যাবে। উত্তর–পশ্চিম ঝঞ্ঝার প্রভাবমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার রাতের তাপমাত্রা ১৫–১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। তাই, ডিসেম্বরের শেষবেলাতেও ফেব্রুয়ারির আবহ বজায় থাকবে।