এই সময়: ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ডুয়ার্সের বক্সা রিজ়ার্ভ ফরেস্ট এলাকায় চালু সব হোম–স্টে বন্ধ থাকবে বলে সোমবার জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এতে নতুন বছরের শুরুতে পর্যটনের ভরা মরশুমে বক্সার হোম–স্টেগুলির ব্যবসা চরম ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা। এ দিন রাজ্য আদালতে জানায়, বক্সার ওই এলাকায় ২৭টি হোম–স্টে চালু আছে।
বক্সা রিজ়ার্ভ ফরেস্ট থেকে হোটেল, হোম–স্টে এবং যাবতীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত (এনজিটি)। ২০২২–এর মে–তে এনজিটি–র ওই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় এ দিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মৌখিক নির্দেশ, ১০ জানুয়ারি শুনানির পরে হোম–স্টেগুলি নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হবে।
এ দিন মামলায় রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিকের দাবি, হোম–স্টেগুলি বাণিজ্যিক নয়। তাই সেগুলিকে বন্ধ করার নির্দেশ অযৌক্তিক। হাইকোর্টে মামলাকারী হোম–স্টের মালিক শুভজ্যোতি বসুর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও দাবি করেন, এনজিটি–র চেয়ারম্যান ও দু’জন টেকনিক্যাল এক্সপার্ট থাকার কথা বোর্ডে। যে দিন রায় দেওয়া হয়েছিল, সে দিন তিন জন ছিলেন না। তাই এই রায় বৈধ নয়। এনজিটি–তে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
তাঁকে হাইকোর্টে মামলাতেও যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি একদিনও হাজির হননি। হাইকোর্টের এই মামলা শোনার এক্তিয়ার আছে কি না, তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ দিন আইনজীবী শামিম আহমেদ তাঁর সেই বক্তব্য আদালতকে জানান। আদালত মনে করছে, এই মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সুভাষের বক্তব্য শোনা জরুরি। তবে তাঁকে এই মামলার জন্য হাইকোর্ট তলব করবে কি না, তা নিয়ে আগামীতে সিদ্ধান্ত নিতে চায় আদালত।
এ দিন বিচারপতি বসু এই মামলার সূত্র ধরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর এলাকার মধ্যে নদীর ধারে কতগুলি ক্রাশার এখনও চলছে, কতগুলি বন্ধ করা গিয়েছে, তা নিয়ে আগামী শুনানিতে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে।