লেপ-কম্বলের বালাই নেই, কাঁথাতেই কেটে গেল অর্ধেক শীতকাল! আক্ষেপ শীতপ্রেমীদের। তার উপর বৃষ্টির পূর্বাভাস। নেটপাড়ায় জোর ঠাট্টা, ‘শীত না বর্ষাকাল ধরতে পারবেন না!’ আপাতত সান্তার দিকে তাকিয়ে অনেকে। বড়দিনে কি বড় সারপ্রাইজ় দেবে আবহাওয়া? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, সে গুড়ে বালি। হাফ সোয়েটার চাপিয়েই বড়দিন কেটে যাবে চলতি বছর। বরং মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায়। সবমিলিয়ে আবহাওয়ার মেজাজ ‘জগাখিচুড়ি’। মাঝে মধ্যে ‘কাল জ্ঞান’ হারিয়ে ফেলছেন সাধারণ মানুষও।
মঙ্গলবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ দিন শহরে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে শীত শীত ভাবটুকুও প্রায় গায়েব। আবহবিদদের কথায়, ‘ভিলেন’ এক্ষেত্রে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই পথ আটকে দিচ্ছে উত্তুরে হাওয়ার। তাই বড়দিনেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই।
উত্তর–পশ্চিম ভারতে তৈরি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। মঙ্গলবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন খুব একটা বেশি বাড়বে না কলকাতা-সহ জেলাগুলির তাপমাত্রা। সকালের দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে আকাশ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমানতা বাড়তে পারে।
উত্তরবঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদা সকালে অপেক্ষাকৃত বেশি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে বড়দিনেও। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমানতা বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আপাতত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা কম।