আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের উপরে ভরসা রাখতে না পেরে নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। গত বৃহস্পতিবার আইনজীবীর মাধ্যমে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দায়ের করা নতুন মামলায় এখনই সাড়া দিলেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
মঙ্গলবার তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নজরদারিতে তদন্ত চলছে কি না, তা আগে জানা প্রয়োজন রয়েছে। মঙ্গলবার সিবিআই এবং নির্যাতিতার পরিবার এই নিয়ে ভিন্ন মতামত দেয়। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আরজি কর মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ সংক্রান্ত রায়ে জানিয়েছিল, নিয়মিত তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। ফলে আদালতের নজরদারি রয়েছে বলে মনে করছেন বিচারপতি ঘোষ।
যদি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নজরদারিতে তদন্ত চলে সেক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি শুনতে পারে না। কারণ তার অর্থ, ‘জুডিশিয়াল ডেকোরাম’ ভঙ্গ করা। তাই তদন্তে আদালতের নজরদারি রয়েছে কি না সেই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানতে চায় আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি। সেই দিনই মামলাটি গ্রহণ করা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চ তার অবস্থান স্পষ্ট করবে।
উল্লেখ্য, আরজি কর মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ জামিন পাওয়ার পরেই মেয়ের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বর্তমানে যে তদন্ত চলছ, তাতে আস্থা নেই বলে দাবি তাঁদের। একইসঙ্গে তাঁদের আর্জি, দ্রুত এই তদন্ত নতুন করে শুরু করার নির্দেশ দিক আদালত। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল, তদন্তের নামে সব তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এই অবস্থায় এখনই আদালত হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।