পুরুলিয়ার জঙ্গলেই রয়েছে বাঘিনি জ়িনাত। অন্তত বন বিভাগের তরফে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে এমনটাই। এরই মধ্যে রাইকার জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম থেকে ছাগল নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে ছড়াল চাঞ্চল্য। শুধু নিখোঁজই নয়, ওই ছাগলের আধখাওয়া দেহ পাওয়া গেল গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে। তবে কি…? আতঙ্কের চোরা স্রোত রাহামদা গ্রামে।
এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, পোপো, রাহামদা ও কেন্দাপাড়ার (রাইকার পার্শ্ববর্তী এলাকা) মধ্যস্থলে ভাঁড়ারি পাহাড়ে অবস্থান করছে বাঘিনি জ়িনাত বলে মনে করা হচ্ছে। তার গলায় থাকা জিপিএস রেডিয়ো কলারের সিগন্যাল মাঝেমধ্যে হারিয়ে যাওয়ায় অনেক সময় তার সঠিক লোকেশন নিয়ে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে বাঁকুড়ার রাহামদা গ্রামের সভারাম মুর্মুর একটি ছাগলের আধখাওয়া দেহ ভাঁড়ারি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়ায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। গ্রামবাসীদের বক্তব্য়, প্রথমে ছাগলটি নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রথমে সকলে ভেবেছিল, তা হয়তো দলছুট হয়ে গিয়েছে কোনও কারণে। কিন্তু পরে দেখা যায়, আরও ৫টি ছাগল নিখোঁজ অবস্থায় রয়েছে। কিছুক্ষণ পরে একটি ছাগলের আধখানা দেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর এরপরেই গ্রামবাসীদের মনে সন্দেহ জাগে, তবে কি গ্রামের আশেপাশেই ঘাপটি মেরে রয়েছে বাঘিনি জ়িনাত?
বর্তমানে রেডিও ট্র্যাকিংয়ের গাড়িটি রাহামদা থেকে কেন্দাপাড়া গ্রামের আশেপাশে ঘুরছে। কিন্তু ছাগল মালিকের বাড়িতে এখনও বন দপ্তরের কোনও কর্মী পৌঁছননি বলেই জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কংসাবতী দক্ষিণের ডিএফও পূরবী মাহাতো বলেন, ‘আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’ এই ঘটনায় গোটা গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও বন দপ্তরের পক্ষ থেকে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন বন বিভাগের কর্মীরা।