মুর্শিদাবাদের তাহারুলই কি ভারতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মূল ভরসা? বড়সড় চক্র ফাঁস রাজ্য পুলিশের ...
আজকাল | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বড় সাফল্য রাজ্য পুলিশের। এদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে আধার ও অন্যান্য নথি তৈরির বড়সড় একটি চক্রের সন্ধান পেল তারা। মুর্শিদাবাদের লালগোলা স্টেশন থেকে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর এদেশে কাদের সাহায্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা প্রয়োজনে আধার ও ভোটার কার্ড তৈরি করত সেবিষয়ে একটি বড় চক্রের সন্ধান পেয়েছে। ধৃত সোহেল নিজেও একজন বাংলাদেশি।সে জলঙ্গির বাসিন্দা তাহারুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করত। অভিযোগ, তাহারুল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে এদেশে নিয়ে আসা বা সেদেশে ফিরে যাওয়ার কাজ করত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদক পাচারের মামলা রয়েছে। এদের সঙ্গে যুক্ত ছিল লালগোলার বাসিন্দা আসিউল আলম ওরফে হানিফ। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সোমবার তারা জানতে পারে চেন্নাই থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ সেরে বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি দল কলকাতা থেকে লালগোলা আসছে। সোহেল এদের 'রিসিভ' করার জন্য লালগোলা স্টেশনে অপেক্ষা করছিল। শেষপর্যন্ত রাজমিস্ত্রিদের দলটি লালগোলা আসেনি। কিন্তু সোহেল স্টেশনে উদ্দেশ্যহীন অবস্থায় ঘোরাঘুরি করছিল। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে। দীর্ঘ জেরায় সে তার বাংলাদেশের নাগরিকত্বের কথা স্বীকার করে।
জানা গিয়েছে, পড়শি দেশের রাজশাহীর বাসিন্দা সোহেল অবৈধভাবে ভারতে আসত এবং কাজ শেষে ফিরে যেত। কিন্তু গত আট বছর ধরে সে আর তার দেশে ফিরে যায়নি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হানিফের সাহায্যে এদেশের বাসিন্দা হওয়ার জন্য যাবতীয় নথি তৈরি করে এবং আধার ও ভোটার কার্ডও বানিয়ে নেয়। লালগোলায় হানিফের একটি অনলাইন কিয়স্ক আছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জলঙ্গির বাসিন্দা তাহারুল দীর্ঘদিন ধরেই এদেশে প্রয়োজনে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে আসা ও ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করত। পুলিশ সোহেলকে হানিফের ওই কিয়স্কে নিয়ে যায়। সেখানে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের একটি সিলও উদ্ধার হয়। দোকানটি সিল করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, চক্রের সঙ্গে আরও কিছু লোকজনের যোগাযোগ থাকতে পারে। বাকি মাথাদের হদিশ পেতে আদালতে এদের নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।