• মদ দোকানে মুর্শিদাবাদ পুরসভার নামে লাইট বোর্ড, বিতর্ক, ক্ষোভ
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: শহরের জনবহুল এলাকায় খোলা হয়েছে মদের দোকান। সন্ধ্যা হলেই সেখানে বাড়ছে বিভিন্ন বয়সের সুরাপ্রেমীদের ভিড়। দোকানের সামনে লাইট বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে মুর্শিদাবাদ পুরসভার নাম। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শহরের রাস্তাঘাট থেকে চায়ের দোকানে চলছে জোর চর্চা। সেই সঙ্গে শহরের জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলার লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে শহরের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। যদিও মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, আবগারি দপ্তর থেকে ‘মুর্শিদাবাদ মিউনিসিপ্যালিটি এফএল অফ শপ টু’ এই নামে ওই ব্যবসায়ীকে লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। সেই মোতাবেক পুরসভার সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে লাইট বোর্ডে মুর্শিদাবাদ পুরসভার নাম নিয়ে আমারও আপত্তি রয়েছে। বিষয়টি জানার পরেই বিষয়টি আবগারি আধিকারিককে জানিয়েছি। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীর কাছে গিয়ে মুর্শিদাবাদ পুরসভা নামটি বাদ দিতে বলেছি। কারণ, মদের দোকানের সাইন বোর্ডে মুর্শিদাবাদ পুরসভা নামটি আমাদের কাছে অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলা আবগারি দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, লাইসেন্সের জন্য ‘মুর্শিদাবাদ মিউনিসিপালিটি এফএল অফ শপ টু’ নামে আবেদন করা হয়েছিল। সেই কারণে ওই নামেই লাইসেন্স ইস্যু হয়েছে। মুর্শিদাবাদ পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাহানগর বাজার একটি জনবহুল এলাকা। এখানেই মাস তিনেক আগে খোলে মদের দোকানটি। খুলতেই রমরমিয়ে চলতে শুরু করেছে ওই দোকান। এদিকে ওই ওয়ার্ডেই রয়েছে পুরসভা ভবন। সেখান থেকে কিছুটা দূরে মদের দোকানের সামনে সাইন বোর্ডে লেখা রয়েছে মুর্শিদাবাদ পুরসভার নাম। মদের দোকানে পুরসভার নাম নিয়েই বিভ্রান্তির পাশাপাশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নাগরিকদের অনেকে প্রশ্ন তুলছেন পুরসভা কি মদের দোকান খুলতে পারে? না পারলে মদের দোকানের সাইন বোর্ডে মুর্শিদাবাদ পুরসভার নাম কেন রয়েছে? আর কেউ বলছেন, আবগারি দপ্তর লাইসেন্স দিলেও পুরসভার শহরের জনবহুল এলাকায় মদের দোকান খোলার ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো উচিত ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সারাদিন মদের দোকানে খদ্দেরদের আনাগোনা লেগে থাকে। সন্ধ্যা নামতেই ভিড় বাড়তে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সমীরণ পাল বলেন, মদের দোকান জনবহুল এলাকা থেকে দূরে ফাঁকা জায়গায় হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিপরীতটা হয়েছে। বাড়িতে ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে। ওই পথ দিয়েই স্কুল, টিউশন যেতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)