নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমন ধান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে আলু চাষকেই বেছে নিয়েছেন খানাকুলের চাষিরা। খানাকুলের দু’টি ব্লকের পাশাপাশি আরামবাগ মহকুমাতেও আলু চাষের এলাকা এবার বেড়েছে বলে কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে চাষিদের মধ্যে। কোথাও কোথাও সেচ নিয়েও তাঁরা চিন্তিত।
কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার এখনও পর্যন্ত আরামবাগ মহকুমায় প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, গতবারের তুলনায় এবার আলুচাষের এলাকা বেড়েছে। মরশুমে শেষের দিকে আলুবীজের দাম কমে যায়। ফলে চাষিরা কিনতে পেরেছেন। তাছাড়া রাসায়নিক সারের দাম নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। তার ফলেই এলাকা বেড়েছে।
খানাকুল-১ ব্লকে এবার ৫৯৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। সেখানে গতবারের তুলনায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ বেড়েছে বলে জানিয়েছে কৃষিদপ্তর। খানাকুল-১ ব্লকের কৃষিদপ্তরের আধিকারিক অপূর্ব শীট বলেন, বন্যার সময় চাষিদের ধান নষ্ট হয়ে যায়। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আলুচাষের জমি প্রস্তুত করার সময় পেয়েছেন। ফলে এবার বেড়েছে আলুচাষ।
খানাকুল-২ ব্লকে এবার ২৪৫০ হেক্টর জমিতে আলুবীজ লাগিয়েছেন চাষিরা। সেখানে এবার প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে আলুচাষ বেড়েছে। ওই ব্লকের কৃষি আধিকারিক শুভময় ঘোষ বলেন, বন্যায় ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিবর্তে অনেকে সর্ষেচাষ করেন। কিন্তু, আবহাওয়ার কারণে এবার অনেক চাষিই সর্ষে চাষ করেননি। বিকল্প হিসেবে অর্থকরী ফসল আলুচাষ করছেন। একইসঙ্গে বোরো ধানের বীজ ফেলার কাজও শুরু হয়েছে।