সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: প্রায় এক বছর ধরে রঘুনাথপুর শহরের ট্রাফিক সিগন্যালের বাতিস্তম্ভ খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। যার ফলে সিভিক ভলান্টিয়ার্সরা রাস্তায় নেমে ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। ট্রাফিক পরিচালনা করতে গিয়ে সিভিকেরা হিমশিম খাচ্ছে। অনেক ব্যক্তি সিভিকদের হাতের ইশারার কোনওরকম তোয়াক্কা না করেই যানবাহন নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ফলে শহরের চৌমাথার মোড়ে প্রায় দিন ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে ট্রাফিক সিগন্যালের বাতিস্তম্ভগুলি ঠিক করার আবেদন জানিয়েছে। তবে কবে ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ঠিক করা হবে কারও জানা নেই।
পুরুলিয়া ডিএসপি ট্রাফিক অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, জেলায় নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। রঘুনাথপুরের বিষয়টি জানা আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অসুবিধার কথা জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথপুর শহরের ক্ষুদিরামচকের সামনে চৌরাস্তার মোড় রয়েছে। সেই মোড় থেকে বিভিন্ন রাজ্য সড়ক চলে গিয়েছে। একটি রঘুনাথপুর থেকে বাঁকুড়া রাজ্য সড়ক, রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা রাজ্য সড়ক, রঘুনাথপুর-বরাকর (আসানসোল) রাজ্য সড়কগুলি গিয়েছে। পাশাপাশি সেখানেই রঘুনাথপুর পুরসভা, রঘুনাথপুর মহকুমা আদালত ও থানা রয়েছে। এছাড়া রাস্তার দু’পাশে ফল সহ বিভিন্ন মিষ্টির দোকান রয়েছে। ফলে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত ওই এলাকায় ভিড় থাকে। পাশাপাশি বর্তমানে রঘুনাথপুর শিল্প শহর হিসেবে পরিচিত লাভ করাই রাজ্য সড়কগুলির উপর যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তাই জেলা প্রশাসন ক্ষুদিরামচকের কাছে চৌরাস্তা মোড়ে যানবাহন গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করে। সুষ্ঠুভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক সিগন্যালের স্তম্ভ লাগিয়ে ব্যবস্থা চালু করা হয়। সিগন্যাল ব্যবস্থা চালুর ফলে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সিগন্যাল ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় প্রচুর সমস্যা হচ্ছে।
রঘুনাথপুর শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরে কেউ যানবাহন নিয়ে এলে ফুটপাত ছেড়ে রাখতে হচ্ছে। গাড়ি নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করে না রাখলেই জরিমানা দিতে হচ্ছে। অথচ রঘুনাথপুরে পার্কিং জোন নেই। তার উপর ট্রাফিক সিগন্যালটিও দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। রঘুনাথপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি তারকনাথ পরামানিক বলেন, ট্রাফিক সিগন্যালটি অবশ্যই ঠিক করা প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে অনেক অসুবিধা দূর হবে।