সংবাদদাতা, বহরমপুর: বাড়িতে রান্না করার সময় আগুনে পুড়ে গিয়েছিল এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ১৭দিন চিকিৎসার পর সোমবার ভোরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। মৃতা পূর্ণিমা দলুই(১৭) খড়গ্রাম থানার চুড়িগ্রামের বাসিন্দা ছিল। পূর্ণিমা আমজুয়া উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ত। খড়গ্রাম থানার পুলিস জানিয়েছে, গ্যাসওভেনে রান্না করার সময় চাদরে আগুন ধরে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর মেয়েকে রান্না করতে দিয়ে মা এক পড়শির বাড়িতে গিয়েছিলেন। গ্যাসে রান্না করার সময় অসতর্কতায় পূর্ণিমার চাদরে আগুন ধরে যায়। সেসময় বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। পূর্ণিমার চিৎকার শুনে পড়শিরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অবশেষে সোমবার সেখানেই তার মৃত্যু হল। পূর্ণিমার মা আরতি দলুই বলেন, মেয়েকে রান্না করতে বলে আমি বেরিয়ে ছিলাম। ওর বাবাও কাজে গিয়েছিল। চাদরে আগুন ধরে মেয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়।
কান্দিতে টোটোর ধাক্কায় প্রৌঢ়ের মৃত্যু: টোটোর ধাক্কায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হল। সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ কান্দি থানার মিছরিতলায় শেরপুর-জীবন্তি রাজ্য সড়কে এঘটনা ঘটে। মৃত হারুন রশিদ(৫৮) কান্দি থানার গাথলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।সোমবার সকালে কলকাতার ট্রেন ধরতে একটি ট্রেকারে বহরমপুর আসছিলেন ওই প্রৌঢ়। মাঝে ট্রেকারের টায়ার পাংচার হওয়ায় চালক টায়ার বদলাতে নামেন। হারুণ রশিদ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই একটি বেপরোয়া টোটো তাঁকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে। টোটোর ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ওই প্রৌঢ় গুরুতর জখম হন। তাঁকে প্রথমে গোকর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে, পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মেডিক্যালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের আত্মীয় শাহজাহান শেখ বলেন, মিছরিতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।