• বীরভূমে সক্রিয় লটারির জাল টিকিটের কারবারিরা, গ্রেপ্তার ১
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি: বীরভূমে ফের সক্রিয় হয়েছে জাল লটারি চক্র। বছর খানেক আগে এই ঘটনায় সিউড়ি থানা অভিযান চালিয়ে ধরপাকড় শুরু করেছিল। ঝাড়খণ্ড থেকে এই জাল লটারির টিকিট বীরভূমে আসে বলে জানা গিয়েছিল। তারপর কিছুদিন থেমে থাকলেও ফের এই চক্র সক্রিয় হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। রবিবার সেই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে রাজনগর থানার পুলিস। পুলিস  জানিয়েছে, ধৃতের নাম বঙ্কিম দাস। ধৃতের বাড়ি রাজনগরের নাকাশ গ্রামে। তার কাছ থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা মূল্যের নামীদামি সংস্থার লটারির জাল টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের কোনও প্রিন্টিং প্রেসে এই টিকিট ছাপানো হয়ে সীমানা পেরিয়ে বাংলায় ঢুকছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজনগর থানার ওসি ঝুমুর সিনহার নেতৃত্বে এই চক্রের অন্যতম পান্ডাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পুলিসের অনুমান, ওই ব্যক্তি একা নয়, এর পিছনে রয়েছে একটি বড় চক্র। এই ব্যক্তি জাল টিকিট নিয়ে এসে বিভিন্ন লটারির কাউন্টারগুলিতে বিক্রি করত। পুলিসের দাবি, ধৃত ব্যক্তি এর আগেও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই চক্রের আরও একাধিক ব্যক্তি বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে পুলিস জানতে পেরেছে। পুলিস জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে এই সমস্ত লটারির জাল টিকিট ছাপা হয়ে রাজনগরের স্থানীয় বাজার সহ বীরভূমের সিউড়ি, সাঁইথিয়া দুবরাজপুর সহ একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। লটারির বৈধ টিকিটের মধ্যেই লুকিয়ে রেখে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে জাল টিকিট। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে। 


    জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের জাল টিকিট বাংলায় পাচারের জন্য একটি চক্র রয়েছে। গত নভেম্বর মাসে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিস এই বেআইনি লটারি চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে রানিনগর থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানতে পেরেছে, এই জেলাকে বেআইনি লটারি কারবারিরা করিডর হিসেবেও ব্যবহার করছে। পুলিসের অনুমান, কিছু অসাধু লটারির টিকিট বিক্রেতাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। পুলিস তাদেরও খোঁজ চালাচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)