সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের নিচু এলাকা ইসলামপুর, সাদলীচক ও দৌলতনগর অঞ্চলে বেড়েছে সর্ষের চাষ। তুলনামূলক কম খরচ আর অল্প সময়ে উৎপাদন হওয়ায় উচ্চ ফলনশীল সর্ষে চাষে ঝুঁকছেন এখানকার চাষিরা। তবে মাঠে সেচের জন্য বৈদ্যুতিক বা সোলার পাম্পের ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। নিচু এলাকা হওয়ায় মাটি যথেষ্ট উর্বর। তিন ফসলি জমিতে ফলনও ভালো হয়। তবে সেচের ব্যবস্থা না থাকায় ডিজেল চালিত পাম্প চালিয়ে জল দিতে হচ্ছে চাষিদের। এতে খরচ হয় যথেষ্ট। ইসলামপুর অঞ্চলের চাষি আশরাফুল হক বলেন, এবছর এক একর জমিতে সর্ষে চাষ করেছি। গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফলন হবে বলে মনে হচ্ছে। মাঠে পাম্পের ব্যবস্থা করে দিলে চাষিদের ভীষণ উপকার হবে।চাষি নাজিমুল হকের দাবি, বাড়তি ফসল হিসেবে আমরা সর্ষে চাষ করি। এক বিঘা জমিতে প্রায় দেড় কুইন্টাল সর্ষে হয়। শুকনো সর্ষে ৫-৬ হাজার টাকা কুইন্টাল হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। মাঠে সেচের ব্যবস্থা হলে চাষিরা সর্ষে চাষে উৎসাহিত হবেন। জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, উন্নতমানের চাষের জন্য শিবির করে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এবছর ওই এলাকায় প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে সর্ষে চাষ হয়েছে। তবে এলাকার চাষিরা সেচের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সরকারিভাবে সেচ দপ্তর থেকে সোলার পাম্প বসানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ছ’জন চাষি মিলে সেচ দপ্তরে সোলার পাম্পের জন্য আবেদন করলে তদন্ত করে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়।
চাঁচল সাব ডিভিশনের সেচ দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার করুণা চন্দ্র সরকার বলেন, সারা বছর সোলার পাম্পের জন্য আবেদন করা যায়। চাষিরা আবেদন করলে খতিয়ে দেখা হবে।