• আলমারিতে কম্বলে মোড়া মামা, সেপটিক ট্যাঙ্কে ভাগ্নের দেহ উদ্ধার
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: সোমবার সকালে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ির বৈশ্যপাড়ায়। প্রথমে উদ্ধার হয় গৃহকর্তার দেহ। কম্বল দিয়ে মুড়ে মৃতদেহটি বাড়ির আলমারিতে রাখা ছিল। ঘটনার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই বাড়ির পিছনে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় ‘নিখোঁজ’ থাকা মৃতের ভাগ্নের পচাগলা দেহ। একইদিনে একই বাড়ি থেকে মামা-ভাগ্নের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। এদিকে, সকাল থেকে বেপাত্তা গৃহকর্তার ছেলে। খুনের ঘটনার সঙ্গে ওই যুবকের কোনও যোগ আছে কিনা পুলিস তা তদন্ত করে দেখছে। ওই যুবকের খোঁজে পুলিস তল্লাশি শুরু করেছে। এসপি দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, আমরা সব দিকই খতিয়ে দেখছি।


    কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিস জানিয়েছে, মৃতরা হলেন বিজয়কুমার বৈশ্য (৬৫) ও গোপাল রায় (৫০)। গৃহকর্তা বিজয়কুমার বৈশ্য। গোপালবাবু ওই বাড়িতেই থাকতেন। বিজয়বাবুর ছেলে প্রণবকুমার বৈশ্য ঘটনার পর থেকে গ্রামে নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে গোপালবাবু আশ্চর্যভাবে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান। গ্রামবাসীদের সন্দেহ তাঁকেও খুন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বাড়িতেই গত কয়েক মাসের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে বিজয়বাবুর স্ত্রী ও বোনের। এদিন খবর পেয়ে তদন্তে আসেন খোদ কোচবিহারের পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা, ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) চন্দন দাস।  পুলিস সুপার জানান, প্রথমে বিজয়কুমার বৈশ্যর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এরপর বিজয়বাবুর ভাগ্নে গোপাল রায়ের দেহ আমরা উদ্ধার করি। এই বাড়ি থেকে যা কিছু উদ্ধার হয়েছে সবই ফরেন্সিক তদন্তে পাঠানো হবে। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  স্থানীয় বাসিন্দা শাহিদার রহমান বলেন, একজন মাছওয়ালা প্রায়ই মাছ দিয়ে যান। এদিন তিনি এসে সাড়া পাননি। ওই মাছওয়ালা খোলা জানালা দিয়ে দেখেন বিছানায় রক্তের দাগ। একটি লাঠিও পড়ে আছে। একটি চিঠি দেখেন। তিনিই আমাদের বিষয়টি জানান। বিজয়বাবুর স্ত্রী ও বোন কয়েক মাস আগে মারা যান। ছেলে প্রণব নেশা করত। বাবাকে মারধর করত। বিজয়বাবুর দেহ পুলিস উদ্ধার করে। ওই বাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে মাস দেড়েক ধরে দেখছিলাম না। 
  • Link to this news (বর্তমান)