কয়েকদিন আগেই দার্জিলিং জেলা পুলিসের মেলো টি ফেস্টিভালের মধ্যদিয়ে পাহাড়ে শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ। তা শেষ হতে না হতেই বড়দিন ঘিরে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে সাজসাজ রব। ইতিমধ্যে আলোর মালা, শান্তাক্লজ, স্টার প্রভৃতি দিয়ে চার্চ, হোটেল, রোস্তরাঁ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কাল গোটা পাহাড় মাতবে বড়দিনের উৎসবে। এই অবস্থায় পাহাড়ের উঁচু উপত্যকায় হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভবনা রয়েছে বলে খবর। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা বলেন, আরএকটি পশ্চিমীঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে।
এরজেরেই বড়দিনে দার্জিলিং পাহাড়ের উঁচু অংশে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় ঠান্ডার কামড় বাড়বে। সমতলে কিছু এলাকায় কুয়াশার দাপটও বাড়বে।
এদিকে, দার্জিলিং পাহাড় এখন পর্যটকের ভিড়ে ঠাসা। অধিকাংশ হোটেল ও লজের রুম বুকিং রয়েছে। ট্যুর অপারেটাররা বলেন, পাহাড়ে এখন মনোরম পরিবেশ। তাই পর্যটকদের আসার সংখ্যা বেড়েছে। বড়দিনে তুষারপাতের সম্ভাবনার খবর পেয়ে ভ্রমণপিপাসুরা যোগাযোগ করছেন। কাজেই বড়দিনে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়বে বলেই আশা করছি।
প্রসঙ্গত, দু’দিন ধরে দার্জিলিং পাহাড়ের রাজভবন এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নীচে। তা হলেও শীতের সেই দাপট নেই বলে জানান পর্যটকরা। তাঁদের বক্তব্য, মনোরম আবহাওয়া। দিনের অধিকাংশ সময় তেমন ঠান্ডা লাগছে না। বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, এদিন দার্জিলিং পাহাড়ের রাজভবন ও সেন্ট জোসেফ কলেজ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ০.৮ এবং ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১০, ১৩.৬, ১২.৫ এবং ১০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা বলেন, কয়েকদিন আগেই একটি পশ্চিমীঝঞ্ঝা গিয়েছে। এরপর দিনের তাপমাত্রা হু হু করে বেড়েছে।