• ভাই সাদ্দামকেও এপারে ঢুকিয়ে ‘ভারতীয়’ বানিয়েছিল জঙ্গি শাদ, তদন্তে জেনেছে অসম এসটিএফ
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবিটি জঙ্গি মহম্মদ শাদের ভোটার ও আধার কার্ড তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ঠিকানায়। নিজের ভাই সাদ্দামকে গেদে সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে ঢুকিয়েছিল এই জঙ্গি। পরিচয়পত্র বানিয়ে তাকেও ‘ভারতীয়’ বানিয়েছিল শাদ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য হাতে এসেছে অসম পুলিসের এসটিএফের (এসটিএফ)। এমনকী শাদের বোন শায়দাও বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় লালগোলায় ধরা পড়ে দীর্ঘদিন বহরমপুর জেলে বন্দি ছিল। ছাড়া পাওয়ার পর সেও এবিটির  হয়ে কাজ করছে কি না, সেটা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।


    শাদকে জেরা করে অসম পুলিসের এসটিএফের অফিসাররা জানতে পারছেন, তাদের পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনজনই জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এবিটি প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির নির্দেশমতো সকলে কাজ করছে। রহমানির নির্দেশে সে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে যায়। এরপর বাংলাদেশ থেকে নির্দেশ আসে, তার ভাই সাদ্দামকেও ‘কাজে’ লাগাতে হবে।  তাকে মূলত অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে আসা হয়।  ভাইকে  নিয়ে চলে আসে মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ায়। মিনারুলের বাড়িতেই আশ্রয় নেয়।  তার ভোটার আধার তৈরির জন্য যোগাযোগ করে আলমগীর নামে এক যুবকের সঙ্গে। অভিযোগ, ওই যুবক সীমান্ত পেরিয়ে আসা বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভোটার, আধার সহ নানা পরিচয়পত্র করে দিত। মিনারুলের গ্রামের ঠিকানায় শাদ ও সাদ্দামের ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি হয়। সেগুলি দিয়ে পরে পাসপোর্ট হয়েছে বলে জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। এরপর চিকিৎসার নাম করে সাদ্দামকে মুম্বই নিয়ে যায় শাদ। সেখানে এবিটি এবং জেএমবির হয়ে কাজ করা এক শীর্ষ জঙ্গিনেতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।  এরপর কেরলে যায় শাদ। সেখান থেকে পাকিস্তানে যাওয়ার্ তোড়জোড় শুরু করছিল শাদ। পাশাপাশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তিনটি আইডি খুলে জেহাদি নিয়োগের কাজও করছিল। 


    তদন্তে উঠে আসছে, সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে আসা বোনকে ‘ভারতীয়’ বানানোর জন্য মুর্শিদাবাদের একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয় শাদ। দুজনকে পাঠিয়ে দেয় বাংলাদেশে। এরপর তার বোন আবার সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে আসার সময় ধরা পড়ে যায় বিএসএফের হাতে। দীর্ঘদিন জেলবন্দি ছিল। কিন্তু সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যায়।  শাদের ভাই সাদ্দাম ও তার বোন ঠিক কতগুলি স্লিপার সেল তৈরি করেছে, সেই বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)