সমন্বয়ে জোর, দমকলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক চার পুলিস কমিশনারের
বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগুন লাগলে দেরিতে পৌঁছনোর অভিযোগ প্রায়ই ওঠে দমকলের বিরুদ্ধে। অনেক ক্ষেত্রে দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছতে যানজটের জেরে দেরি হয়। আবার অনেক সময় কোনও বস্তি বা ঘিঞ্জি অঞ্চলে আগুন লাগলে অপরিসর রাস্তা, রাস্তার উপর দখলদারি বা অবৈধ পার্কিংয়ের জেরেও দমকলের গাড়ি ঢুকতে সমস্যা হয়। দমকল কর্মীদের কাজ ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করতে সোমবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সেখানে কলকাতার পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা, বিধাননগরের পুলিস কমিশনার মুকেশ, হাওড়ার পুলিস কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং বারাকপুরের পুলিস কমিশনার অলোক রাজোরিয়া উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি, দপ্তরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদ এবং দমকলের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্তারাও ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুলিসের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে ডিভিশন লেভেলে প্রতি মাসে একটি করে বৈঠক হবে। তৈরি করা হবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। শহরের বিভিন্ন ঘিঞ্জি এবং বস্তি অঞ্চলে কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, কীভাবে সমাধান সম্ভব, তার ‘ম্যাপিং’ করা হবে। তৈরি হবে বিশেষ নির্দেশিকা। বিভিন্ন বস্তিতে কাজের সুবিধার ক্ষেত্রে সমীক্ষা সহ সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেও প্রচার চালানো ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি, শহরের এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে দমকলকর্মীদের ঢিল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। সুজিত বসু বলেন, ঘিঞ্জি অঞ্চলে বা ছোট রাস্তায় গাড়ি ঢুকতে অনেক সময় সমস্যা হয়, সেটাও বুঝতে হবে। তাই বাসিন্দাদের বোঝাতে বিভিন্ন বস্তিতে সচেতনতা প্রচার করা হবে। বস্তির বাসিন্দাদের আগুন লাগলে প্রাথমিকভাবে কী করণীয়, সেটাও শেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছে দমকল বিভাগ। দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এই সচেতনতা প্রচার শুরু করা হবে বিভিন্ন বস্তিতে। পাশাপাশি, বস্তি ও বিভিন্ন ঘিঞ্জি এলাকায় দমকল কর্মীদের কাজে সুবিধার্থে কোথাও জলের সোর্সের ব্যবস্থা করা যায় কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, ফায়ার অডিট বাড়ানোর কথাও বলেছেন মন্ত্রী। সেক্ষেত্রে স্থানীয় পুরসভা, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকেও সঙ্গে নেওয়া হবে।
দমকলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৬৪টি দমকল কেন্দ্র রয়েছে। জঙ্গিপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে আরও দু’টি দমকল কেন্দ্র খুব শীঘ্রই উদ্বোধন হবে। এই সংখ্যা দুশোতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ৭৫টি নতুন দমকলের গাড়ি কেনা হচ্ছে। দমকলের আধুনিকরণের জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।