• অস্থির বাংলাদেশ, বনগাঁয় বাড়তে পারে ‘ধুর’ পাচার, সতর্ক বিএসএফ
    বর্তমান | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাড়তে পারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ। ঢুকতে পারে জঙ্গিরাও। এমন আশঙ্কায় সীমান্তে বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর। সম্প্রতি বাংলায় কাশ্মীরি জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনায় বনগাঁ সীমান্তে নজরদারি বেড়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। বনগাঁ সীমান্তে বেশ কিছু অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। আশঙ্কা করা হচ্ছে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে এদেশে আসতে পারে জঙ্গিরা।


    উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় কয়েকশো কিলোমিটার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। এর মধ্যে বনগাঁ মহকুমার প্রায় ৯২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সীমান্ত। এর ৭২ কিলোমিটার স্থল সীমানা ও প্রায় ১৫ কিলোমিটার জল সীমানা। মোট আয়তনের প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে কাঁটাতারের কোনও বেড়া নেই। ফলে এই পথকেই বেছে নেয় জঙ্গিরা। বনগাঁর বাঁশঘাটা, রণঘাট, গাঙ্গুলিয়া, মোস্তাফাপুর, ঘুনার মাঠ, কালিয়ানি, খেদাপাড়া প্রভৃতি এলাকা অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য। কারণ এইসব এলাকার অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই।


    বনগাঁ সীমান্তে অনুপ্রবেশ (স্থানীয় ভাষায় ‘ধুর’ পাচার) দীর্ঘদিনের সমস্যা। ধুর পাচারের সিন্ডিকেটের রমরমা শহর জুড়ে। টাকা দিলেই জঙ্গল ‘ভিসা’ নিয়ে অনায়াসে যাতায়াত করা যায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে। রোজ অনেক বাংলাদেশি এদেশে চলেও আসছেন চোরাপথে। এদেশে নানা দুষ্কৃতীমূলক কাজ করে আবার চোরাপথে ওদেশে ফিরে যাচ্ছেন। এভাবেই এদেশে জঙ্গি অনুপ্রবেশও ঘটে। অতীতেও এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসে চার লস্কর ই তোইবার জঙ্গি। বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তার করেছিল। পরে ধৃতদের পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদের মধ্যে দু’জন ভারতীয় ও দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক। ধৃতদের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার বাড়তি নজরদারি চলছে বনগাঁ সীমান্তে।
  • Link to this news (বর্তমান)