নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: মদ কেনার জন্য বাবা-মাকে প্রায়ই চাপ দিতেন। মারধর করতেন স্ত্রীকেও। রবিবার রাতেও নেশার টাকা না দেওয়ায় বাবা শঙ্কর, মা বন্দনা সরকারকে মারধর করছিলেন তিনি। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বারাকপুর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার জ্যোতি চক্রবর্তী। তিনি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাঁর উপরও হামলা চালানো হয়। ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর মাথা। তাঁকে বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর কপালে দু’টি সেলাই পড়েছে। বারাকপুরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার বাগান এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তের নাম শুভঙ্কর সরকার।
সোমবার সকালে সাংবাদিকদের জ্যোতিদেবী বলেন, শুভঙ্কর প্রায়ই ঘরে অশান্তি করে। রবিবার রাতেও বৃদ্ধ বাবা আর মাকে মার্বেলের টুকরো দিয়ে মারতে যাচ্ছিল। আমি মাঝখানে বাধা দিই। তখন আমার কপালে ওটা দিয়ে আঘাত করে। আমার কপাল থেকে রক্ত পড়তে থাকে। সকলে মিলে আমাকে বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যান। দু’টো সেলাই পড়েছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।
এদিকে শুভঙ্করের মা বন্দনা সরকার জানান, প্রায়ই ছেলে ঘরে অশান্তি করে, নেশার টাকা চায়। স্ত্রীকে মারধর করে। আমাদেরও ছাড়ে না। গতকাল, রবিবার আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন কাউন্সিলার। তিনিও আক্রান্ত হলেন। ছেলে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিস এসেছিল। আমরা চাই আমাদের ছেলের যাবজ্জীবন জেল হোক। ছেলের এই ব্যবহার মেনে নিতে পারছি না।