• স্কুলের হস্টেলে কমছে ছাত্রীর সংখ্যা, রহস্য উদ্ঘাটনে পরিদর্শন প্রশাসন আধিকারিকদের
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সাঁইথিয়া:  ক্রমেই কমছে হস্টেলে আবাসিকদের সংখ্যা। হস্টেলের নিরাপত্তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন বিডিও, পুলিস ও শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা। নিরাপত্তার কারণেই হস্টেলে আবাসিকদের সংখ্যা কমছে। দাবি অভিভাবকদের। দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের যশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কেজিবিভি (কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের) হস্টেল মঙ্গলবার দুপুরে পরিদর্শন করেন তাঁরা। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীদের এই হস্টেলে আসন সংখ্যা ৭৫টি। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রী রয়েছে ২৮ জন। আর এই কম ছাত্রী থাকার কারণেই চিন্তায় রয়েছেন প্রশাসন। এই হস্টেলে থাকা-খাওয়া, পড়াশোনা করা সবই হয় বিনামূল্যে। তা সত্ত্বেও কেন ছাত্রীরা এখানে থাকতে চাইছেন না, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান দুবরাজপুরের ব্লক প্রশাসন ও পুলিস প্রশাসন। জানা গেছে, করোনা মহামারীর আগে এই হস্টেলের সবক’টি আসন পূরণ হয়ে যেত। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে সেই ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি নিরাপত্তার অভাবের কারণে কমছে ছাত্রী সংখ্যা। 


    যশপুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিলকুমার রুজ বলেন, আমাদের স্কুলের ছাত্রীদের যে হস্টেল রয়েছে, তার আসন সংখ্যা ৭৫টি। কিন্তু অনুন্নত এলাকা অভিভাবকরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। রয়েছে সচেতনতারও অভাব। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল কাগজে যে খবর দেখছে, তাতেও একটা আতঙ্ক তাদের মধ্যে রয়েছে। সেই কারণেও অনেক ছাত্রীই ভর্তি হতে‌ চাইছে না। সেজন্য আজকে দুবরাজপুর ব্লকের আধিকারিক, পুলিস, শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে এসেছিলেন। কীভাবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে। ওইদিন দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দুবরাজপুর ব্লক প্রশাসন, পুলিস প্রশাসন, শিক্ষকদের সহ অন্যান্যদের নিয়ে একটা মিটিং হয়। তারপর হাইস্কুলের পাশে থাকা ছাত্রীদের হস্টেল পরিদর্শন করেন প্রত্যেকেই। ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার কথা বলেন দুবরাজপুরের আধিকারিকরা। ছাত্রীদের হস্টেলমুখী করতে প্রচার, মানুষকে বোঝানো, সচেতন করা হবে। এ বিষয়ে দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও রাজা আদক বলেন, করোনা পরিস্থিতির আগে হস্টেলে ৭৫টি আসন সংখ্যার মধ্যে অধিকাংশই পূরণ হয়ে যেত। কিন্তু করোনা পরবর্তীকালে সেই আসন ভর্তি সংখ্যা কমে গেছে। করোনা পরিস্থিতির পর হস্টেল ফাঁকা পড়ে যায় ফলে বেশ কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। যার কারণে ধারণা হয়ে গেছে জায়গায় নিরাপত্তাহীন রয়েছে। সে কারণে এখানে কেউ আসতে বা ভর্তি হতে চান না। পরবর্তীতে এরকম পরিস্থিতি কাটিয়ে তোলার জন্য প্রশাসনের তরফে মাইকিং সচেতনতা প্রচার চালানো হবে। দুবরাজপুর দক্ষিণ চক্রের এস আই সৌরীশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা ব্লক প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এদিন স্কুলে বৈঠক করতে এসেছিলাম। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)