• প্রতিবাদ করায় জামাইবাবুর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে খুনের হুমকি
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহ শহরের নবাবগঞ্জ এলাকায় এক বধূকে ফোন মারফত উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যান বধূর শ্বশুর ও জামাইবাবু। সেই সময় অভিযুক্ত যুবক জামাইবাবুর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মালদহ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে,ধৃত যুবকের নাম অজিত হালদার। বাড়ি শহরের নবাবগঞ্জ নিচুপাড়ায়। 


    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,আট মাস আগে শহরের বালিয়া নবাবগঞ্জ এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বাঁশহাট পাড়ার এক যুবতীর সামাজিক মতে বিয়ে হয়। বধূ জানিয়েছে,আগে ছেলেটির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ের পর তিন মাস যোগাযোগ ছিল না। সম্প্রতি ওই যুবক তাঁর মোবাইলে মেসেজ করে। তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই ফোন করত। 


    জামাইবাবু বলেন, আমার শ্যালকের স্ত্রীকে ছেলেটি ফোন করত। বিষয়টি বাড়িতে জানাজানি হয়। এদিন সকালে আমি ও আমার শ্বশুর বাজারে যাই। সেখানে ছেলেটির সঙ্গে দেখা হয়। আমার শ্বশুর ছেলেটিকে ফোন করতে নিষেধ করেন। আমিও তাকে এনিয়ে নিষেধ করি। তখন অভিযুক্ত আমার বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এনিয়ে আমি আতঙ্কিত। ভবিষ্যতে আমাকে মারতে পারে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। বধূর শ্বশুর বলেন, সোমবার রাতে ওই অভিযুক্ত যুবকের জন্য আমার ছেলের সঙ্গে বউমার ঝামেলা হয়। এদিন ছেলেটির সঙ্গে নবাবগঞ্জে দেখা হয়। তার কাছে জানতে চাই আমার বউমাকে বারবার ফোন করে সে বিরক্ত করছে কেন? তারপর এমন ঘটনা ঘটে। আমার জামাইয়ের বুকে বন্দুক ধরে।  অভিযুক্ত প্রাক্তন প্রেমিক অজিত হালদার বলে,বন্দুক দেখাইনি। বন্দুক নিয়ে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থলে পড়ে গিয়েছিল। আগে ওই যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বন্দুক কোথা থেকে পেলেন? অভিযুক্তের দাবি, কয়েক দিন আগে বন্দুকটি সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে পেয়েছি। মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)