• এটিএম প্রতারণা: পুলিসের ভূমিকায় খুশি ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কুমারগ্রাম: কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়িতে এটিএম কার্ড বদল করে আর্থিক প্রতারণা চক্রের তিন পান্ডা গ্রেপ্তার হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, পুলিসি তৎপরতার জন্য এটিএম ব্যবহারকারী বহু মানুষ প্রতারণার হাত থেকে বাঁচল। এর জন্য পুলিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। 


    উল্লেখ্য, গত রবিবার কামাখ্যাগুড়ি বাজার চৌপথিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে টাকা তুলতে আসেন দক্ষিণ কামাখ্যাগুড়ির এক যুবক। সেসময় অপরিচিত দুই ব্যক্তি গল্প করতে করতে যুবকের এটিএম কার্ডটি বদল করে অন্য একটি কার্ড দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই যুবক বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং তিনি সোজা কামাখ্যাগুড়ি পুলিস ফাঁড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানান। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে বিপিনকুমার সিং ও অনিলকুমার স্বরাজ নামে দু’জনকে আটক করে। সুনীলকুমার স্বরাজ গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ভাটিবাড়ি থেকে পাকড়াও করে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি গাড়ি, ১১৩টি এটিএম কার্ড, পাঁচটি মোবাইল ফোন, তিনটি ভুয়ো আধার কার্ড, নগদ ছ’হাজার টাকা সহ অন্যান্য সামগ্রী। ধৃতদের আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পাঠায় পুলিস। বর্তমানে তারা জেল হেফাজতে রয়েছে। টিআই প্যারেডের পর ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহারের পূর্ণিয়া হয়ে কলকাতায় আসে এরা। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা। এদের লক্ষ্য ছিল, গুয়াহাটিতে গিয়ে ফিরে আসার। পথে বিভিন্ন স্থানে সুযোগ বুঝে, সাধারণ মানুষের এটিএম কার্ড বদল করে, পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে আর্থিক প্রতারণা করা। 


    কামাখ্যাগুড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ সাহা বলেন, বড় ধরনের প্রতারণার হাত থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ রক্ষা পেল। এর জন্য পুলিসকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। নিজের এটিএম কার্ড অন্যের হাতে না দেওয়াই ভালো। আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও শ্রীনিবাস এম পি বলেন, এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না যে, ধৃতেরা কোথায় কত টাকার প্রতারণা করেছে। তাদের কাছ থেকে আমরা ১১৩টি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছি। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)