• সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়নে গতি আনতে মমতাকে চিঠি
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের সড়ক পরিবহণ পরিকাঠামো উন্নয়নে গতি আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন নীতিন গাদকরি। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী গাদকারি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের বক্তব্য, এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে নবান্ন। সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও আপস করা হচ্ছে না। জমি তেমন কোনও ইস্যু নয়। অন্যান্য ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্ত দিক বিবেচনা করা হয়। তবে অকারণে দেরির অভিযোগ ঠিক নয়। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়ন নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামীণ সড়কের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বিগত ১৩ বছরে। 


    কেন্দ্রীয় মন্ত্রক সূত্রে খবর, ১৭ ডিসেম্বর ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, রাজ্য তথা দেশের আর্থিক উন্নতির জন্য জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সময়মতো প্রায়োজনীয় জমির ব্যবস্থা, রাজ্যের ছাড়পত্র এবং অন্যান্য কাজ অগ্রাধিকার সহকারে হওয়া দরকার। এই কাজগুলি সময়মতো হলে আম জনতার সাশ্রয় হয়। সামগ্রিকভাবে দেশের এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। জেলাস্তর থেকে জমি অধিগ্রহণ, ফরেস্ট ক্লিয়ারেন্স বা অরণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র, মাটির নীচ থেকে জলের পাইপলাইন, ইলেকট্রিক লাইন সরানোর মতো কাজগুলিতে দেরি হওয়ায় এ রাজ্যের একাধিক কাজ আটকে রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে। চিঠির সঙ্গেই এ রাজ্যে ডিপিআর স্তরে থাকা ন’টি ও বিভিন্ন স্তরে আটকে থাকা ১১টি প্রকল্পের কাজের (৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের কাজ) তালিকাও গাদকরি পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তিস্তা নদীর উপর ব্রিজ, দুবরাজপুর বাইপাস, ৬০ নং জাতীয় সড়কে কংসাবতী নদীর উপর সেতু, শিলাবতী নদীর উপর সেতু, ৮১ নং জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ, রামনগর বাইপাস, পানাগড় থেকে পালসিট পর্যন্ত ন্যাশনাল করিডর (জাতীয় সড়ক ১৯) ছ’লেন করার কাজ, শিলিগুড়ি রিং রোডের অ্যালাইনমেন্ট চূড়ান্ত করা ইত্যাদি। এই প্রকল্পগুলির সমস্যা মিটিয়ে কাজে গতি আনতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকে তাঁর মন্ত্রক এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
  • Link to this news (বর্তমান)