• কেক ও পাকুন পিঠের ঘ্রাণ বারুইপুরের খ্রিস্টানপাড়ায়, সুন্দরবনে পর্যটকের ঢল
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: বারুইপুর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডটি খ্রিস্টানপাড়া নামে পরিচিত। প্রায় ২০০ খ্রিস্টান পরিবারের বাস। এখন পাড়া সেজে উঠেছে আলোয়। সর্বত্র উৎসবের মেজাজ। নানা রকমের কেকের পাশাপাশি এই সময়ের স্পেশাল পাকুন পিঠেও হচ্ছে বাড়ি বাড়ি। এখন সব জায়গায় বড়দিনের আমেজ। সুন্দরবনে যাওয়ার জন্যও বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। কুলতলির কৈখালি পর্যটক আবাসে ২০২৫ সালের জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত ভরা বুকিং। এখানে নদীতে পড়ে এক পর্যটকের তলিয়ে যাওয়ার পর সতর্ক ভূমিকা পুলিসের। মদ্যপ অবস্থায় আবাসে ঢুকলেই দ্রুত থানায় জানানোর নির্দেশ।  


    বারুইপুরের খ্রিস্টানপাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয়। প্রিয়ম ভক্ত নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘নতুন জামা-কাপড় কেনা হয়ে গিয়েছে। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হবে। প্রতিটি বাড়িতে বিরিয়ানি মাস্ট। গির্জাতে হবে বিশেষ প্রার্থনা।’ এছাড়াও লরেন্স ভক্ত, সন্টু ভক্ত নামে অন্য দুই বাসিন্দা বলেন, ‘রোজ, পাম কেকের পাশাপাশি হবে নারকেলের পাকুন পিঠে। বাড়ির মহিলারা তা তৈরি করেছেন।’ আকাশ নস্কর নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘প্রতিটি বাড়িতে প্রভু যিশুর আবির্ভাব দেখানোর জন্য গোশালা তৈরি করা হয়েছে। প্রভুর বাণী লিখে টাঙানো সব বাড়িতে।’ এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মোজাফফর আহমেদ বলেন, ‘পুরসভা রাস্তাঘাট পরিষ্কার করেছে। গির্জা সাজানোর কাজও হয়েছে।’ 


    অন্যদিকে এই জেলার সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় জমছে। কুলতলির জামতলা থেকে কৈখালির দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েতের কৈখালিতে নীমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম পরিচালিত পর্যটক আবাস। সেটি মাতলা নদীর একেবারে কাছে। এখানে পর্যটকদের থাকার জায়গা বলতে এই একটিই। আবাসের দায়িত্বে থাকা কানাই নস্কর বলেন, ‘জানুয়ারি মাসের জন্যও ঘর প্রায় বুক হয়ে গিয়েছে। কৈখালি জেটিঘাট থেকে পর্যটকরা বোটে করে সহজেই যেতে পারবেন ঝড়খালি, বনি ক্যাম্প, কলস দ্বীপ, সজনেখালি।’ পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে কড়া নজরদারি চালানো হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)