• পুণ্যার্থী সমাগমের জন্য গঙ্গাসাগরের ১ নম্বর বিচকে তৈরি করছে প্রশাসন
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চারদিকে বালি, নেই ভাঙনের চিহ্ন। গঙ্গাসাগরের আর পাঁচটি সৈকত যেখানে ভেঙেচুরে একাকার, সেখানে এই এক নম্বর সি বিচ যেন একবারে বিপরীত মেরুতে। বর্তমানে এটিই সব থেকে ভালো অবস্থায় আছে। মনে হবে যেন ভার্জিন বিচ। সারা বছর খুব বেশি লোকজন সেখানে ভিড় করে না। মূল মেলা প্রাঙ্গণ থেকে অনেকটা দূরে এটি। তবুও এবারে এই সমুদ্রতটে পুণ্যার্থীদের বেশি সমাগম করাতে চাইছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। তাঁরা যাতে গঙ্গাসাগর নেমে এদিকেই আসেন, সেই মতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে, মেলা উপলক্ষে আলো বসানো থেকে জল সংযোগ, শৌচালয় থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ– ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের তালিকা প্রকাশ করল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর।


    যেহেতু কুয়াশা একটা বড় চিন্তার কারণ, তাই সেদিকে বাড়তি নজর দিয়ে দপ্তর ২৪টি অ্যান্টি ফগ লাইট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বাইরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আলাদা ব্যবস্থা থাকছেই। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণের ২৫ হাজার মিটার এলাকা জুড়ে বৈদ্যুতিকীকরণের কাজ করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। মেলা প্রাঙ্গণ আলোকিত করে তুলতে বসানো হবে ১৭ হাজার ৫০০টি আলো। পুণ্যার্থীদের জন্য তৈরি হবে ৮১৫০টি শৌচালয়। এছাড়া মেলা চলাকালীন ৮০ লক্ষ জলের পাউচ রাখা হবে বলে ঠিক হয়েছে। মেলার প্রস্তুতি নিয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, দুই এবং তিন নম্বর বিচে নামতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা। তাই ওই এক নম্বর বিচকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এদিকে শীতের মরশুমে অল্প অল্প করে ভিড় জমতে শুরু করেছে কপিল মুনির মন্দিরে। মাঝে মধ্যেই ভিড় সামাল দিতে লট এইট থেকে বার্জ চালিয়ে দর্শনার্থীদের কচুবেড়িয়া পাঠাতে হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)