• পর্যটন কেন্দ্রে দূষণ রুখতে গুচ্ছ নির্দেশ উলুবেড়িয়া পুরসভার
    বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া : বড়দিন মানেই পিকনিক, জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হইহুল্লোড়। আর পিকনিকের জায়গা যদি নদীর তীরে হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তবে পর্যটকদের আনন্দ যাতে পরিবেশের পাশাপাশি নদীকে দূষিত না করে সেই লক্ষ্যে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল উলুবেড়িয়া পুরসভা। ইতিমধ্যে পুরসভার পক্ষ থেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে একাধিক নির্দেশ জারি করা হয়েছে, সতর্কতামূলক ফ্লেক্সও টাঙানো হয়েছে। পুরসভার আধিকারিকদের বক্তব্য, অমান্যকারীদের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী জরিমানা করা হবে। জরিমানামূল্য ক্ষেত্রবিশেষে ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা হাতে পারে। 


    পিকনিকের মরশুমে হাওড়া জেলার যে ক’টি পর্যটন কেন্দ্র জমজমাট হয়ে ওঠে তার মধ্যে ফুলেশ্বরের কালসাপা সেচ বাংলো নদীর তীর অন্যতম। হুগলি নদীর তীরে গাছের ছায়ায় পিকনিকের মজা উপভোগ করতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক হাজির হন এখানে। আর এখানেই একশ্রেণির পর্যটক মজা করতে নিয়ম ভাঙার খেলায় মেতে ওঠেন। তারস্বরে ডিজে বাজানো, প্রকাশ্যে মদ্যপান, বড় বড় গাছের নীচে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করা, নদীতে নৌকা বিহার, বিভিন্ন জিনিস ফেলে এলাকা ও নদীর জল দূষণ করা কোনটাই বাদ যায় না। আর পর্যটকদের এই ব্যাপারে সর্তক করতে বড়দিনের আগেই উলুবেড়িয়া পুরসভার পক্ষ থেকে পুরসভার অধীনে থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হল। উলুবেড়িয়া পুরসভা সূত্রে খবর শুধু কালসাপা নয়, এর পাশাপাশি বিবির চড়া, উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা সহ অন্যান্য পিকনিক স্পট প্লাস্টিকের জিনিসপত্র দিয়ে পরিবেশ অপরিষ্কার না করা, গঙ্গা দূষণ না করা, গাছের নীচে আগুন না জ্বালানো, ডিজে না বাজানো সহ একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস ও ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান জানান, আমরা পরিবেশ ও গঙ্গা দূষণ রোধে বদ্ধ পরিকর। আর সেই কারণে পর্যটকদের এই ব্যাপারে সর্তক করতে বিভিন্ন জায়গায় ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে। কোনও পর্যটক নিয়ম না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)