ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া ও জঞ্জাল নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পথনাটিকা, নির্দেশ ৪১ পুরসভাকে
বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
অর্ক দে, কলকাতা: শীতকালীন উৎসবকে কাজে লাগিয়ে অভিনব প্রচার ভাবনা রাজ্যের। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ ও জঞ্জাল সাফাই এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে জনসচেতনতা প্রচারে বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় বাজার, মেলা, উৎসব প্রাঙ্গণে নাচে-গানে পথনাটিকার আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর। দপ্তরের অধীনস্থ রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থার (সুডা) তরফে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কর্মসূচির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে ডেঙ্গু বিজয় অভিযান’। ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রচারের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
সুডা আপাতত ১২টি জেলার ৪১টি পুরসভাকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। এই সময় বিভিন্ন এলাকায় পৌষমেলা কিংবা ক্রিসমাস কার্নিভালের আয়োজন হয়। পাশাপাশি, শীতকালীন বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। যেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। তেমন জায়গায় এই ধরনের পথনাটিকা পরিবেশন করতে বলা হয়েছে। কোন পুরসভা এলাকার কোথায়, ক’টি করে পথনাটিকা হবে, তাও বলে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পুরসভাকে একজন করে নোডাল অফিসার রাখতে হবে। কোথায়, কবে পথনাটিকা পরিবেশন হচ্ছে, কারা করছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা থেকে যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত রাখবেন সেই অফিসার। পথনাটিকার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন বলে দেওয়া হয়েছে। পরিবেশনের সময় নীল এবং সবুজ রঙের জঞ্জাল ফেলার বালতি রাখতে বলা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, নীল বালতিতে প্লাস্টিক কিংবা ওই জাতীয় অপচনশীল বর্জ্য ফেলা হয়। সবুজ বালতিতে পচনশীল বর্জ্য ফেলতে হয়। নাটক বা নাচের মাধ্যমে জঞ্জালের এই পৃথকীকরণ কতটা জরুরি, সেটা বোঝানো হবে। তাতে মানুষকে বোঝানোর সুবিধার্থে এই বালতি রাখতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্তা বলেন, এই গোটা কর্মসূচিকে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে ডেঙ্গু বিজয় উৎসব’ নাম দেওয়া হয়েছে। পথনাটিকা চলাকালীন এই সংক্রান্ত একটি ব্যানার সেখানে রাখতে হবে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল চারপাতার একটি ‘ফিডব্যাক’ ফর্ম পথনাটিকার সময় বিলি করতে হবে। পরিবেশনা দর্শকদের কতটা ভালো লাগল, আদৌ দর্শক পথনাটিকাটি দেখার পর কিছু বুঝলেন কি না, কতটা বুঝলেন তা দর্শকরা ফিডব্যাক ফর্মের মাধ্যমে জানাবেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট গ্রুপের পরিবেশনা কতটা উপযুক্ত এবং তাঁর কাছে গ্রহণযোগ্য হল কি না, সেটাও দর্শকদের থেকে জানতে চাওয়া হবে। প্রতিটি গ্রুপ প্রতিটি পরিবেশনার জন্য চার হাজার টাকা করে পাবে। একদিনে সর্বোচ্চ তিনটি পথনাটিকা করা যাবে। এছাড়াও, যাতায়াত খরচা হিসেবে দিনে প্রত্যেক গ্রুপকে হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সুডা সূত্রের খবর, পরবর্তী পর্যায়ে বাকি পুরসভা এলাকাতেও এই অভিনব প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।