• আনন্দের দিনে উৎসব অধরা নিমাসরাই চার্চে
    এই সময় | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, মালদা: মিশনারি দুই সংস্থার টানাপড়নে বন্ধ বড়দিন উৎসব। আনন্দের দিনে অন্ধকারে ডুবে ৭০ বছরের পুরাতন মালদার নিমাসরাই চার্চ। দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগত একটি সংস্থা চার্চের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তিন মাস আগে নতুন আরেকটি সংস্থাকে চার্চের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    পুরোনো সংস্থার কর্মকর্তাদের অভিযোগ, তাঁদের কোনওরকম লিখিতভাবে না জানিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই তাঁরা চার্চের গেটে তালা মেরে দেন বলে অভিযোগ। পাল্টা নতুন সংস্থার লোকজনও তার উপরে ফের তালা মেরে দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ একর জমির উপরে থাকা নিমাসরাই চার্চের ভিতরে রয়েছে যিশুখ্রীস্ট ভবন।

    সেখানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রতিদিনই প্রার্থনা করতে আসতেন। গত তিন মাস ধরে চার্চের গেটে তালা পড়ে যাওয়ায় সকাল–সন্ধের প্রার্থনা বন্ধ। নিমাসরাই এলাকার বাসিন্দা সুরোজ বাস্কে বলেন, ‘প্রতি বছর বড়দিনে গান, বাজনা–সহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে উৎসব পালিত হতো। গোলমালে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বার আর আনন্দ হবে না।’

    আর এক বাসিন্দা ইমান টুডুর বক্তব্য, ‘আজ, বড়দিনে কোনও অনুষ্ঠান হবে না, ভাবতেই পারছি না। এখানে ঈশ্বর বন্দনা নয়, রাজনীতি চলছে। গোলমাল ভুলে যাতে চার্চে তালা খোলা হয় আমরা সেই দাবি করেছি।’

    নিমাসরাই চার্চের প্রাক্তন ফাদার রমেন ক্যাথোয়ার বলেন, ‘নতুন যে সংস্থাটি তদারকির দায়িত্ব পেয়েছে তারা আমাকে কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। পুরোনো যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাও এখান থেকে চলে গিয়েছেন। তবে লিখিতভাবে আমাকে কোনও রকম নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুরোনো কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়ে চার্চে তালা দিয়েছেন।’

    চার্চের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাদার সত্যেন বলেন, ‘যে সংস্থাটিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের অধীনে আমরা এই চার্চের দেখভাল শুরু করেছি। কিন্তু পুরোনো সংস্থার কর্মীরা তাঁদের বহাল রাখার দাবিতে চার্চের গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)