এই সময়: বাংলার আবাস যোজনা বা গ্রামাঞ্চলে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরে প্রাপকরা নির্মাণ কাজ শুরু করলেন কি না, তা দেখতে ব্লকস্তরে নজরদারির নির্দেশ দিল নবান্ন।
১২ লক্ষ মানুষের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ৮ লক্ষ ২২ হাজার প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। কাল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে বাকি সব নির্বাচিত উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শেষ করতে জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্য যাচাইয়ের কাজে কিছু খামতি থাকায় টাকা পাঠাতে দেরি হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
জেলাশাসকদের সঙ্গে সোমবারই ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, টাকা প্রাপকদের উপরে চারটি পর্যায়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের নজরদারি চালাতে হবে। নিয়ম মেনে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ির বিম বা লিন্টেল পর্যন্ত নির্মাণ শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকায় শেষ করতে হবে পুরো নির্মাণ।
উপভোক্তারা যাতে প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেয়েই দ্রুত কাজ শুরু করে দেন, সে জন্য তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পঞ্চায়েত আধিকারিকরা নিয়মিত উৎসাহ জোগাবেন। নবান্নের যুক্তি, এই অর্থ প্রাপকরা গরিব। টাকা না–পেলে কাজ শুরু করতে পারবেন না। আবার অনেক সময়ে টাকা পেলেও কাজ শুরু করতে তাঁদের মধ্যে গড়িমসি দেখা যায়। সে কারণেই নিয়মিত যোগাযোগে জোর দেওয়া হয়েছে।