বড়দিনের ছুটিতে ডেস্টিনেশন হতে পারে ইতিহাস বিজড়িত কাটোয়া
বর্তমান | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাটোয়া: বড়দিনের ছুটিতে একদিনের ডেস্টিনেশন হতেই পারে বহু ঐতিহাসিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ কাটোয়া। টেরাকোটার মন্দির থেকে বর্গি হামলার চিহ্ন-মহকুমাজুড়ে ঐতিহাসিক স্থাপত্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সতীপীঠ দর্শন, ভাগীরথীতে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো-সবই একদিনেই হয়ে যাবে। রাত্রিবাসের জন্য রয়েছে ভালো হোটেল, রিসর্ট। তাই মরশুমের শুরুতেই কাটোয়ার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।
কাটোয়া শহরেই শ্রীচৈতন্যদেবের দীক্ষাস্থান রয়েছে। তা বৈষ্ণব সাধকদের কাছে এক পূণ্যভূমি। কাটোয়ার বাগানেপাড়ায় শাহী মসজিদ, সিংহদুয়ারও রয়েছে। মঙ্গলকোট ব্লকে রয়েছে হোসেন শাহের মসজিদ, বিক্রমাদিত্যের ঢিবি, কেতুগ্রামের কুলুটে মসজিদ প্রভৃতি। এছাড়া, মহকুমাজুড়ে টেরাকোটার নানা মন্দির, ভগ্নপ্রায় জমিদারবাড়ি প্রভৃতি রয়েছে। দাঁইহাট শহরেও নানা ভগ্নপ্রায় ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাস্কর পণ্ডিতের দুর্গাদালান, সমাজবাড়ি প্রভৃতি। মঙ্গলকোটের সতীপীঠ যোগাদ্যা মন্দির, নতুনহাটের মঙ্গলচণ্ডী মন্দির, কেতুগ্রামের অট্টহাস মন্দির প্রভৃতি জায়গায় সারাবছরই ভিনরাজ্য থেকেও বহু মানুষ আসেন।
২০১৬ সালেই এসব ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম তৈরি শুরু করে প্রশাসন। সেসময় স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর আর সার্কিট ট্যুরিজম নিয়ে প্রশাসন এগোতে পারেনি। কাটোয়ার বাসিন্দা উৎপল লাহা বলেন, মহকুমার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্যকে নিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম গড়া আমাদের প্রশাসনের বহুদিনের দাবি ছিল। তা এখনও কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না, সেটা বুঝতে পারছি না।
শ্রীবাটির চন্দ্রবাড়িতে টেরাকোটার প্রাচীন মন্দির দর্শন করতে এখন থেকেই পর্যটকরা আসছেন। মঙ্গলকোটেও নানা ঐতিহাসিক জায়গা ছড়িয়ে রয়েছে। হামিদ বাঙালির মাজার থেকে অজয় ঘিরেই আস্ত প্রত্নস্থল দেখা যাবে। মঙ্গলকোটের বাসিন্দা সম্রাট মুন্সি বলেন, প্রতিবছর শীতকালে বিক্রমাদিত্যের ঢিবি দেখতে প্রচুর মানুষ আসেন। এবার প্রশাসন সেখানে সংগ্রহশালা গড়ে দেবে। এতে পর্যটক আরও বাড়বে।