বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনার মাঝেই একের পর এক ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের সদস্যদের ধরপাকড় শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকা থেকে মোক্তার আলম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। আলমের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর প্যান কার্ড ও ডেবিট কার্ড-সহ জাল নথিও।
লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গত পাঁচদিনে আলম-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আলম ছাড়া বারাসতের কাজিপাড়ার বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাস এবং তাঁর ছেলে রিপন বিশ্বাস, পোস্ট অফিসের দুই কর্মী তারকনাথ দাস, দীপক মণ্ডল এবং পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের কাজিপাড়ার বাসিন্দা সমরেশ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ এই আলম। আলম এর আগে ২০২১ সালেও জাল নথি তৈরির অভিযোগে চুঁচুড়া থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আলম ফের পুরোনো কারবার শুরু করেন।
এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ছিল আলমের। এলাকায় একটি দোকান ছিল আলমের। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের নথি নিয়ে প্যান কার্ড, আধার কার্ড বানিয়ে দেওয়ার কাজ করতেন আলম। পাড়ায় ‘ভালো লোক’ বলেই পরিচিত আলম যে এমন জাল নথি তৈরির চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা। আলমের ছেলে বলেন, ‘বাবার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ডেবিট কার্ড নিয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে। বাবা ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের কাজ করতেন। এর বেশি কিছু জানি না।’
পুলিশ সূত্রে খবর, আলমকে জেরা করে এই চক্রের বাকিদেরও খোঁজখবর মিলতে পারে। তাঁর অধীনে বেশ কিছু এজেন্ট ছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে নথি সংগ্রহ করে জাল পাসপোর্ট তৈরিতে হাত পাকিয়েছিলেন আলম। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পারাপারের সঙ্গে তিনি কোনও ভাবে জড়িত কি না সেই ব্যাপারেও খোঁজ নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।