• কম সময়ে ভালো ফলন, ‘ডায়মন্ড সিম’ চাষ বাড়ছে দেগঙ্গায়, লাভ কেমন?
    এই সময় | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • শীতে লাঞ্চ হোক বা ডিনার, সবজির নানা পদ বাঙালির পাতে থাকবেই। ঝালে-ঝোলে অনেকেরই পছন্দের সবজি সিম। তবে, ‘ডায়মন্ড সিম’-এর নাম শুনেছেন? সিমের ফলনে সময় লাগছে কম, লাভও ভালোই। ‘ডায়মন্ড সিম’ মুখে হাসি ফোটাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাষিদের। 

    দেগঙ্গায় ধান,পাট, আলু,পটল-সহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়। এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষিনির্ভর। প্রধান জীবিকা বলতেই কৃষিকাজ। তবে এ বছর অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ডায়মন্ড সিম চাষ করেছেন দেগঙ্গার আমুলিয়া, চাঁপাতলা, বেড়াচাঁপা, চাকলা, চৌরাশী-সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা।

    চাষ কী ভাবে হয়?

    লম্বা-চওড়া গঠন, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর এই শীতকালীন সবজির প্রচুর চাহিদা কলকাতার বাজারে। চাষিদের বক্তব্য, এই সিম চাষে মূলত দানা সার ব্যবহার করা হয়। এই চাষে ইউরিয়া সার একদমই দেওয়া হয় না। বৃষ্টি হলে ফুল নষ্ট হয়ে চাষের ক্ষতি হয়। তবে পোকার আক্রমণ ডায়মন্ড সিম চাষেও হয়। পোকার আক্রমণ হলে তবেই কীটনাশক ব্যবহার করেন চাষিরা।

    দাম কেমন?

    মাটি তৈরি থেকে বীজ বপন, গাছের চারা তৈরি এবং মাচা তৈরি করে দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয় চাষে। বর্তমানে ডায়মন্ড সিমের বাজার মূল্য পাইকারি প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা। চাষিদের দাবি,  ঠিকঠাক চাষ হলে দেড় বিঘা জমির সিম ২ মাসে বিক্রি প্রায় এক লক্ষ টাকায়। কম সময়ে ভালো লাভের মুখ দেখছেন এলাকার চাষিরা। 

    স্থানীয় এক চাষি বলেন, ‘আমাদের এই সিম চাষ করতে কম সময় লাগছে। বিক্রি ভালো হলে লাভ দেখতে পাচ্ছি। সেই কারণে অনেকেই এই সিম চাষ করছে।’ চাষিদের দাবি, এই সিম খেতে সুস্বাদু বলেই বাজারে চাহিদা রয়েছে এই ডায়মন্ড সিমের। চাষিদের পাশাপাশি গ্রামের অধিকাংশ মহিলারা সিম তোলার কাজ করেও কিছু টাকা মুনাফা করছেন। মাঠে যাঁরা কৃষিকাজ করেন, তাঁদের মজুরি ঘণ্টা পিছু ১০০ টাকা। দুপুর ১ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত কাজ করে চারশো টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সকলে।

  • Link to this news (এই সময়)