• উৎসবে মাতোয়ারা হুগলি, উপচে পড়া ভিড় ব্যান্ডেল চার্চে
    আজকাল | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মিল্টন সেন: বড়দিনের ছুটি উপভোগ করতে সকাল থেকে ভিড় উপচে পরেছে ব্যান্ডেল চার্চে। তিল ধারণের যায় ছিলনা ব্যান্ডেল চার্চ সংলগ্ন কোনও  এলাকাতেই। গেটের সামনের অংশ হোক বা সংলগ্ন মাঠ, রাস্তা সবই এ দিন ছিল পর্যটকদের দখলে। থিকথিকে ভিড় উপচে পড়েছিল চার্চ সংলগ্ন মেলায়। সকাল থেকে টানা চলেছে মেলা ঘোরা, সেলফি তোলা। ভিড় ছিল ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে ব্যান্ডেল চার্চ পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তায়। ভিড় সামাল দিতে রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছে চন্দননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগ এবং পুলিশ কর্মীদের। 

    বুধবার জেলা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক পর্যটক বেড়াতে এসেছেন ব্যান্ডেলে। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই সারাদিনের পরিকল্পনায় ব্যান্ডেল চার্চ ছাড়াও ইমামবাড়া, দেবনন্দপুর, হংসেশ্বরী মন্দির, লাহিরীবাবার মন্দির দর্শন। বড়দিনের উৎসবে মেতেছে বাংলা। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন গির্জার সঙ্গে বড়দিনের সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে জেলার তিন চার্চ-কে। চন্দননগর চার্চ, শ্রীরামপুরের সেন্ট ওলাব চার্চ এবং হুগলি জেলার ঐতিহ্যবাহী ব্যান্ডেল চার্চ বা ব্যান্ডেল ব্যাসিলিকা। 

    বড়দিনের সাজে ব্যান্ডেল চার্চ রঙিন হয়ে উঠেছিল নানান আলোয়। ভারতবর্ষের প্রাচীন গির্জার মধ্যে অন্যতম ব্যান্ডেল চার্চ। ৪২৫ বছর আগে তৈরী পর্তুগিজ এই স্থাপত্য দেখার ভির থাকে সারা বছরই। বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যান্ডেল চার্চ দেখতে আসেন। আর বড়দিনে ব্যান্ডেল চার্চ চত্বরে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। ভিড়ে দূর্ঘটনা এড়াতে ২৫শে ডিসেম্বর এবং ১লা জানুয়ারি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে গির্জার গেট। তবে মূল ফটকের সামনেই বড়দিন উপলক্ষে গোশালা তৈরি করা হয়। বেথলেহেমের ক্রিভের দৃশ্যকল্প তৈরি করা হয়। বাইরে থেকে হলেও সেই গোশালার সামনেই ভিড় উপচে পড়েছিল পর্যটকদের। 

    তাছাড়া চার্চ সংলগ্ন এলাকায় বসা মেলা পর্যটকদের কাছে ছিলো বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়া শ্রীরামপুর পুরসভার পরিচালনায় রাজ্য পর্যটন দপ্তরের সহযোগিতায় শ্রীরামপুর হেরিটেজ এন্ড টুরিজম ফেস্টিভ্যাল এর মাধ্যমে বড় দিনের উৎসবে শ্রীরামপুরে আড়ম্বর বাড়ল কয়েকগুণ। একদা গঙ্গার পশ্চিম পারে ডেনিসদের কলোনির, বহু স্থাপত্য আজও সেই ইতিহাস বহন করে। রয়েছে ডেনিস গভর্নর হাউস, ডেনিস টাভার্ন, শ্রীরামপুর কলেজ, উইলিয়াম কেরীর সমাধি, সেন্ট ওলাভ চার্চ।

    এছাড়া মাহেশ জগন্নাথ মন্দির, রাধাবল্লভ মন্দির তো রয়েছেই। প্রতিবছর ক্রিসমাস উপলক্ষে সেন্ট ওলাব চার্চকে সাজিয়ে তোলা হয়। ধুমধাম করে বড়দিন পালিত হয়। উৎসবে মেতে ওঠেন বহু মানুষ। চার্চের সামনের অংশ সাজানো হয়েছে নানা রকমের আলো দিয়ে। উৎসব উপলক্ষে এনএস অ্যাভিনিউ, সেন্ট ওলাভ গির্জার সামনে নানা জায়গা আলোয় সাজানো হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে সূচনা হয়েছে উৎসবের। চলবে ২ রা জানুয়ারি পর্যন্ত। উৎসবের দিন গুলিকে আরও রঙিন করে তুলতে আয়োজন করা হয়েছে সংঙ্গীতানুষ্ঠানের। থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা।
  • Link to this news (আজকাল)