• বড়দিনেও বাঘিনীর আতঙ্ক! সারাদিন পর্যটকশূন্যই পুরুলিয়ার বান্দোয়ান...
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মনোরঞ্জন মিশ্র: বড়দিনের উৎসবেও বাঘিনীর আতঙ্ক! সারাদিন পর্যটকশূন্যই থাকল পুরুলিয়ার বান্দোয়ান। খাঁ খাঁ করছে গোটা জঙ্গল এলাকা। নেই চড়ুইভাতির আয়োজন, নেই আড্ডা-গানবাজনা। শুনশান থাকল বান্দোয়ান এলাকার কেশরা, রাইকা, রাহামদার মতো অফবিট জায়গাগুলি। রয়েছেন শুধু বনকর্মী, পুলিস ও বাঘ বিশেষজ্ঞরা। 

    অন্যান্য বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই এই এলাকায় পর্যটকদের ঢল নামে। পরিবার পরিজনকে নিয়ে চলে নাচ, গান, আড্ডা, চড়ুইভাতির আয়োজন। কিন্তু এবছর বাঘিনীর আগমনে সবই বন্ধ। গত তিন দিন ধরে বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ের জঙ্গলে ওত পেতে বসে বাঘিনী। তাই জঙ্গলে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন দফতর। গ্রামের বাইরে বেরোচ্ছেন না জঙ্গল-লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। সন্ধ্যা নামতেই গৃহবন্দি হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। 

    এদিকে বাঘিনীর খাঁচায় পুরতে তিনদিন ধরে একাধিক পদক্ষেপ করেও ব্যর্থ বন দফতর। জঙ্গল-লাগোয়া এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। ট্র্যাংকুলাইজার টিম ও বন কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে জঙ্গলে। বাঘিনীকে বাগে আনতে কৌশল বদল করছে বন বিভাগ । বাঘিনীর খাঁচাবন্দি হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বান্দোয়ান। তাহলেই স্বাভাবিক হবে জনজীবন। 

    এদিকে পাকা ফসল পড়ে রয়েছে মাঠে। জমিতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। বাঘিনীর আতঙ্কে মাঠ থেকে পাকা ধান ও সবজিও ঘরে তুলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে রুজি-রোজগার। বন্ধ স্বাভাবিক জনজীবন। আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে বেরোতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের রাইকা পাহাড়ে স্থান পরিবর্তন করেছে ওই বাঘিনী। বন দফতরের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের জঙ্গলে যেতে বা গ্রাম ছেড়ে বাইরে বেরোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুদিন ধরে তৎপরতার সঙ্গে বাঘিনীকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা করেও বিফল বন দফতর। এর জেরে আতঙ্ক বাড়ছে এলাকায়। বাঘিনী কবে খাঁচাবন্দী হবে, কবে স্বাভাবিক হবে জনজীবন? সেদিকেই তাকিয়ে বান্দোয়ানবাসী।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)