রাতের ঘন কুয়াশায় জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে, আশঙ্কা হোগলবেড়িয়ার বাসিন্দাদের
বর্তমান | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, তেহট্ট : বাংলাদেশে চলছে অশান্তি। এই অশান্তির সময় ঘন কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা কাঁটাতার টপকে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় এসে কারও বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকতে পারে, এই আশঙ্কাই করছে সীমান্তের একাংশের মানুষ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমার সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া সম্পূর্ণ হলেও হোগলবেড়িয়া থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কিছু অংশ এখনও কাঁটাতারবিহীন। যদিও বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির সময়েই সীমান্তের কাঁটাতার বরাবর বিএসএফ নজরদারি বাড়িয়েছে। বিএসএফের এই নজরদারি সত্ত্বেও ঘন কুয়াশা মধ্যে জওয়ানদের নজর এড়িয়ে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে বিভিন্ন নাশকতা ঘটনা ঘটাবে না তো? এই কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী একাংশের মানুষের মনে। যেমনটি ঘটেছিল ২০১৪ সালের ২রা অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে। সেদিন ওই বাড়িতে বিস্ফোরণ দুজন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছিল এবং আহত হয়েছিল এক জন। যার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিল খাগড়াগর বোমা বিস্ফোরণে নিহত শাকিল গাজী নামে এক সন্ত্রাসবাদী। তার আদি বাড়ি বাংলাদেশে। সে চোরাপথে সীমান্ত পর হয়ে থানারপাড়া থানার বারবাকপুর এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর গ্রামের একজনকে বাবা বানিয়ে অর্থের বিনিময়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিল। পরবর্তীতে ওই গ্রামেরই এক কিশোরীকে বিয়ে করে সংসার পাতে। মানুষের মধ্যে বিশ্বাস অর্জন করতে বিয়ের পরে এই সন্ত্রাসবাদী এলাকায় কিছুদিন সাইকেল করে ফেরি করত। মাঝেমধ্যে কয়েকদিনের জন্য কোথাও চলে যেত, আবার ফিরে আসতো। এভাবেই চালাচ্ছিল সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। একে একে বাড়াচ্ছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্য সংখ্যা। সমস্ত কিছু গোপনে চালালেও খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আসে। তদন্ত শুরু করে সি আই ডি এবং এন আই এ।
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক বলেন, আমাদের নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেদ করে একটা মাছিও গলতে পারবেনা। রাতে নাইট ভীষণ ক্যামেরা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সীমান্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, সীমান্তবর্তী থানাগুলিকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক, ফেরিঘাট গুলিতে অতিরিক্ত নজরদারী, সন্দেহভাজন দেখলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে।