সংবাদদাতা, কালনা: বুধবার কালনার পর্যটনকেন্দ্র রাজবাড়ি চত্বর পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি এ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহকুমা শাসক শুভম আগরওয়াল ও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল। এদিন জেলাশাসক কালনার হ্যান্ডলুম তাঁতশিল্পীদের সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। তাঁতিরা তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করার কথা জানালে জেলাশাসক হ্যান্ডলুম আধিকারিকদের তাঁতবস্ত্র বিপণনের ব্যবস্থা করতে বলেন।
কালনা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভাগীরথী নদীর চরে ইকো বায়োডাইভার্সিটি পার্ক গড়ে তুলতে ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। এদিন সেই প্রোজেক্ট সম্পর্কেও জেলাশাসক খোঁজখবর নেন।এদিন রাজবাড়ি চত্বরে থাকা ১০৮ শিবমন্দির, প্রতাপেশ্বর মন্দির, ২৫ চূড়া কৃষ্ণচন্দ্র ও লালজি মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দির জেলাশাসক পরিদর্শন করেন। কালনার এত সুন্দর প্রাচীন টেরাকোটার স্থাপত্য দেখে মুগ্ধ হন। বড়দিন উপলক্ষ্যে কালনা রাজবাড়ি চত্বরে প্রচুর পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জেলাশাসক বলেন, প্রাচীন মন্দিরের শিল্প নৈপুণ্য অসাধারণ। এদিন তাঁতিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী সরকারি উদ্যোগে ও অনলাইনে বিপণনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মহকুমা শাসক বলেন, আমরা হ্যান্ডলুম তাঁতশিল্পীদের একটি তালিকা, তাঁদের অসুবিধার বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করছি। তাঁদের তৈরি তাঁতবস্ত্র বিপণনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইকো বায়োডাইভার্সিটি পার্কের ডিপিআর তাড়াতাড়ি তৈরি ও কাজে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটা দেখা হবে।