বড়দিনেও খুলল না লালগড় প্রকৃতি উদ্যান ও নগরবন, হতাশ পর্যটকরা
বর্তমান | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বড় দিনেও খুলল না বিষ্ণুপুরের লালগড়ে অবস্থিত দু’টি পার্ক। ছুটির দিনে দলে দলে পর্যটক ‘লালগড় প্রকৃতি উদ্যান’ ও ‘নগরবনে’ ঘোরার জন্য ভিড় করেন। কিন্তু, দুই পার্কের গেট বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে তাঁদের ফিরতে হয়। অনেকেই ক্ষোভ উগরে দেন। বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেখা বাউরি বলেন, প্রকৃতি উদ্যানে বেড়া এবং সিসি ক্যামেরা বসানো হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই এনিয়ে বৈঠক হবে। ১ জানুয়ারির আগেই তা খুলে দেওয়া হবে।
বনদপ্তরের বিষ্ণুপুরের ডিএফও রাজু সরকার বলেন, নগরবন পরিচর্যার জন্য অর্থ না থাকায় তা বন্ধ রয়েছে। তবে অর্থের জন্য রাজ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা মঞ্জুর হলে পুনরায় পরিচর্যা করে তা খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই মাস আগে নানা অসামাজিক কাজের অভিযোগ ওঠায় বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত সমিতির অধীন লালগড় প্রকৃতি উদ্যানের গেটে তালা পড়ে। উদ্যানের নিরাপত্তার জন্য বেড়া এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর পর তা খোলার সিদ্ধান্ত হয়। ইতিমধ্যে বেড়া এবং চারটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও উদ্যান খোলা হয়নি। বড়দিনে বিষ্ণুপুরে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পর্যটকরা দলে দলে এসেও গেটে তালা দেখে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
বনদপ্তরের ‘নগরবন’ লালগড়েই অবস্থিত। চারবছর আগে তা ১০হেক্টর জমির উপর তৈরি করা হয়। সেখানে একাধিক ব্লক তৈরি করে ভেষজবন, নক্ষত্রবন, স্মৃতি বন তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ফুল ও ফলের বাগানও তৈরি করা হয়। বিভিন্ন জীবজন্তুর মূর্তিও তৈরি করা হয়। ঘটা করে তার উদ্বোধন হয়। টিকিট কাউন্টার খোলা হয়। কিন্তু, এক বছরের মধ্যেই পরিচর্যার অভাবে সবক’টি ব্লকের গাছ নষ্ট হতে বসে। বর্তমানে নগরবনের গেটে তালা পড়েছে। চারদিকে ঝোপঝাড়ে পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
পর্যটন মরশুম শুরু থেকেই দুই পার্ক খোলার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা সরব হন। প্রকৃতি উদ্যানে বেড়া এবং সিসি ক্যামেরা বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়। কয়েকদিন আগে তা বসানো সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বড়দিনে তা খোলা হবে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু, এদিনও সকালে গিয়ে দেখা যায়, প্রকৃতি উদ্যান খোলা হয়নি। গেটের বাইরে পর্যটকরা ঘোরাঘুরি করে ফিরে যান।