সংবাদদাতা, পতিরাম: বয়স ২১ বছর। কিন্তু লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতে ২৫ বছর হতেই হবে। তাই ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে বালুরঘাট বিডিও অফিসে আবেদন করলেন বধূ। কিন্তু জালিয়াতি করে চার বছর বয়স বাড়িয়েও লাভ হল না। বিডিও অফিসের কর্মীরা তথ্য যাচাই করতেই সামনে এসেছে আসল ঘটনা। মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি পালিয়ে যান। বিডিও অফিসের তরফে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ভুয়ো আধার, ভোটার কার্ড এবং ভুয়ো পাসপোর্ট বানানোর চক্র অত্যন্ত সক্রিয় বালুরঘাটে। দু’দিন আগে দুই বাংলাদেশির ভুয়ো আধার কার্ডের পর ফের এদিনের ঘটনা প্রশাসনের চিন্তা বাড়িয়েছে।
ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ বলেন, বিডিও অফিস থেকে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ওই মহিলার নামে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করে তদন্ত চলছে।
বিডিও সম্বল ঝা বলেন, বালুরঘাট ব্লক অফিসে এক মহিলা লক্ষীর ভান্ডারের আবেদনপত্র এনেছিলেন। সঙ্গে জমা দেওয়া আধার কার্ডটি ভুয়ো। আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওই মহিলা পালিয়ে যান। আমরা বালুরঘাট থানায় অভিযোগ করেছি।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম ভারতী দেবনাথ। বাড়ি হিলি ব্লকে। ভুয়ো আধার কার্ডে তাঁর একই নাম লেখা রয়েছে। তবে ঠিকানা বালুরঘাটের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া এলাকায়। ভুয়ো আধারে জন্মের মাস ও তারিখ এক থাকলেও সাল ১৯৯৭ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিডিও অফিসের কর্মীদের চোখে ধুলো দিতে আধার কার্ডটিকে কিছুটা ঝাপসা করা হয়েছিল। এছাড়া ল্যামিনেশনও করা হয়।
প্রশাসন জানিয়েছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য ২৫ বছর হওয়া বাধ্যতামূলক। তাই ওই মহিলা চার বছর বয়স বাড়িয়ে নিজের ব্লক ছেড়ে অন্য ব্লকে আবেদন করেছিলেন। পুলিস ও প্রশাসনের তরফে তাঁর আসল বাড়ি জানার চেষ্টা হচ্ছে। এই ভুয়ো আধার কার্ড বানানোর পিছনে কারা রয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র।