নতুন বছরের শুরুতেই পুরোপুরি খুলে যাবে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে
বর্তমান | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। অবশেষে সম্পূর্ণভাবে খুলছে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। যদিও রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে এমন নয়, যে অংশের কাজ শেষ হয়েছে, সেদিক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এবার এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সমস্ত অংশ খুলে দেওয়া হবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের প্রথমেই রাস্তা চালু হয়ে যাবে।
হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোদপুরের মুড়াগাছা মোড় থেকে কাঁচরাপারার কাঁপা মোড় পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার কল্যাণী এক্সপ্রেসের কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। মুড়াগাছা মোড়ের উড়ালপুলের কাজ শেষ পর্যায়ে চলছে। মোট ১৭টি উড়ালপুল তৈরি হয়ে গিয়েছে। আন্ডারপাস হয়েছে ৬০টি। আগামী এক মাসের মধ্যে এই ছ’লেন সম্প্রসারিত নতুন রাস্তা সাধারণের জন্য পুরো খুলে যাবে। তবে এই রাস্তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পাঁচ বছরের জন্য তদারকির দায়িত্বে থাকবে ঠিকাদারি সংস্থা। যদি রাস্তার পিচ উঠে যায়, তবে তা পুরো চেঞ্জ করে দিতে হবে। এমনকী রাস্তায় লাইটের দায়িত্বে থাকা সংস্থাকেও পাঁচ বছর দায়িত্ব নিতে হবে। লাইট খারাপ হলে বদলে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, আলোর বিদ্যুৎ বিলও ঠিকাদার সংস্থা মেটাবে। পাঁচ বছরের চুক্তিতে ঠিকাদারি সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গুজরাতের একটি ঠিকাদারি সংস্থা কাজ করছে।
সাধারণ মানুষের বক্তব্য, রাস্তা তৈরি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই হাল খারাপ হয়ে যায়। সেদিকে সরকারের নজর থাকলে ভালো। রাস্তা প্রথম চালু হলে ঝাঁ চকচকে লাগে। পরবর্তী ক্ষেত্রে তা আর থাকে না। ঠিকাদারি সংস্থাকে পাঁচবছর মেনটেনেন্সের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো। হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর রঞ্জন কুমার বলেন, আমরা জানুয়ারির মধ্যেই মুড়াগাছা থেকে কাঁচরাপাড়ার কাঁপা পর্যন্ত চালু করে দেব। সবকটি উড়ালপুল চালু হয়ে যাবে। এখন যে অবস্থায় রাস্তা রয়েছে, সেই অবস্থায় আমরা রাস্তাটি সামনের পাঁচ বছর দেখতে পাব। কারণ, এই রাস্তার সমস্ত দায়িত্ব থাকবে ওই ঠিকাদার সংস্থার হাতে। স্বাভাবিকভাবে রাস্তা খারাপ হলে তা সংস্কার করবে ওই ঠিকাদার।