এই সময়: চলতি বছরের নভেম্বরে ভারতের ঘরোয়া উড়ান ক্ষেত্রে মোট যাত্রী সংখ্যা এ যাবৎ মাসিক সর্বোচ্চ হওয়ার রেকর্ড গড়েছে বলে জানিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। একই সঙ্গে নিয়ামক সংস্থাটি জানিয়েছে, নভেম্বরে দিল্লি বিমানবন্দর তাদের সেরা পারফরম্যান্স করেছে। গত মাসে তিনটি উড়ান সংস্থার পারফরম্যান্সও নজিরবিহীন।
ভারতের প্রথম উড়ান সংস্থা হিসেবে এক মাসে ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটির বেশি যাত্রী বহন করেছে ইন্ডিগো। নভেম্বরে ভারতের ঘরোয়া রুটগুলিতে ইন্ডিগো ৯.০৭ মিলিয়ন যাত্রী বহন করেছে এবং বাকিটা তারা করেছে আন্তর্জাতিক গন্তব্যগুলিতে। এর আগে ২০২৪ সালের অক্টোবরে এবং ২০২৩–এর ডিসেম্বরে ইন্ডিগো যথাক্রমে ৮.৬৪ মিলিয়ন ৮.৫২ মিলিয়ন যাত্রী বহন করেছিল।
যাত্রী বহনে নতুন রেকর্ড তৈরি করে ইন্ডিগো ভারতের ঘরোয়া উড়ান যাত্রী বাজারে তাদের অংশীদারিত্বও ৬৩.৬ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে, যা সর্বকালীন সর্বোচ্চ। সাতটি ত্রৈমাসিকের পর লোকসান করলেও ভারতের অভ্যন্তরে এখন ইন্ডিগোর ব্যবসা তাদের প্রাক–কোভিড পর্বের ব্যবসার তুলনায় দেড় গুণ। আন্তর্জাতিক রুটগুলিতে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির হার আরও বেশি।
নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ৩.৪৭ মিলিয়ন যাত্রী বহন করেছে। উড়ান যাত্রী বাজারে তাদের অংশীদারিত্ব ২৪.৪ শতাংশ। নভেম্বরের প্রথম ১১ দিন বিস্তারা আলাদা ছিল। ১২ নভেম্বর থেকে বিস্তারা মিশেছে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে। এই প্রথম কোনও এক মাসে এয়ার ইন্ডিয়া ৩ মিলিয়নের বেশি ঘরোয়া উড়ান যাত্রী বহন করেছে। আশা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়া আরও বেশি যাত্রী বহন করবে।
২০২৩ সালে পাইলট ঘাটতি সমস্যা নাকাল হয়েছিল আকাশ এয়ার। সেই অধ্যায় এখন অতীত। চলতি বছরের নভেম্বরে উড়ান সংস্থাটি ৬,৭৪,০০০ ঘরোয়া উড়ান যাত্রী বহন করেছে। যা তাদের কোনও এক মাসের নিরিখে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ঘরোয়া উড়ান যাত্রী বাজারে তাদের অংশীদারিত্ব ৪.৭ শতাংশ।
চলতি বছরে যাত্রী সংখ্যার বিচারে ভারতের ঘরোয়া উড়ান ক্ষেত্র ২০২৩ সালকে ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর আরও একটি রেকর্ড গড়ার মাস হতে চলেছে।