• গোরুমারার হাতির পিঠে সাফারি, টিকিটের জন্য হাহাকার
    এই সময় | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অর্ঘ্য বিশ্বাস, লাটাগুড়ি

    বড়দিনেও সাপ্তাহিক ছুটির অন্যথা হলো না। নিয়ম মেনে বন্ধ রইল লাটাগুড়ির জঙ্গল সাফারি। ফলে যাবতীয় ভিড় টেনে নিল গোরুমারা। কিন্তু সেখানেও ভিড়ের চাপে জঙ্গল সাফারির সুযোগ পেলেন না বহু পর্যটক। বেড়াতে এসে বন্যপ্রাণীদের দর্শন থেকে বঞ্চিত হয়ে মুখভার তাঁদের। তবে বড়দিনের জমজমাট ভিড়ে মুখে হাসি ফুটেছে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের।

    প্রতিবছরের মতো এবারও বড়দিনের সকাল থেকেই ডুয়ার্সের প্রাণকেন্দ্র লাটাগুড়িতে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করে। তবে লাটাগুড়ি জঙ্গল সাফারির সাপ্তাহিক ছুটি বুধবার। শুধুমাত্র এদিনের জন্য জঙ্গল খুলে রাখতে বন দপ্তরের কাছে একাধিক আর্জি গেলেও তাতে সাড়া দেননি বনকর্তারা। লাটাগুড়ির জঙ্গল সাফারি বন্ধ থাকায় চাপ বাড়ে গোরুমারায়।

    গোরুমারার নজমিনারগুলোতে এদিন চারটি শিফটই পরিপূর্ণ ছিল। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনের টিকিটও শেষ হতে সময় নেয়নি। অনেক পর্যটক টিকিট না পেয়ে শুকনো মুখে ফিরে যান। এই জঙ্গল সাফারিতে আসা সুস্মিতা সরকার, সৌম্যজিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গোরুমারায় জঙ্গল ভ্রমণের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু টিকিট না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।’

    গোরুমারার ইকো টুরিজম রেঞ্জ থেকে জিপসিতে চেপে গোরুমারার বিভিন্ন নজরমিনারে বেড়াতে যান পর্যটকরা। ২০টি জিপসি রয়েছে এখানে। চারবার পর্যটক নিয়ে আসা–যাওয়া করে এই গাড়িগুলি। এদিন সবক’টি ট্রিপই ছিল ভর্তি। রামশাই মেদলা নজরমিনারে মোষের গাড়ি চেপে ভ্রমণের সুযোগ পান পর্যটকেরা। বুধবার মেদলাতেও উপচে পড়া ভিড় ছিল।

    সেখানেও অনেকে টিকিট না পেয়ে শূন্য হাতে ফিরে আসেন। গোরুমারার ইকো গাইড ধীরেন কোরা, মনু ওরাওঁ, সুব্রত পাইকরা জানান, বড়দিনে দিনভর গোরুমারাতে ভিড় ছিল। আশা করা যাচ্ছে, ইংরেজি নববর্ষেও একইরকম ভিড় থাকবে। এছাড়া গোরুমারার গাছবাড়িতে হাতি সাফারিতেও ভিড় দেখা গিয়েছে। সকালে ও বিকেলে দিনে দু’বার করে তিনটি কুনকি হাতির পিঠে চেপে পর্যটকরা জঙ্গল ভ্রমণের সুযোগ পান। সেখানেও সমস্ত বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।

    কলকাতা থেকে আসা জিনিয়া মল্লিক ও অমিয় মল্লিক বলেন, ‘সোমবার ডুয়ার্সে এসেছি৷ এই প্রথমবার হাতি সাফারির সুযোগ মিলল।’ পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘বড়দিনে ডুয়ার্সে আসা পর্যটকদের বেড়ানোর তালিকার অন্যতম গোরুমারা। সেখানে দিনভর ভিড় দেখা গিয়েছে।’ গোরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ইকো টুরিজম রেঞ্জের রেঞ্জার সুদীপ দে বলেন, ‘গোরুমারার সমস্ত নজরমিনারে পর্যটকদের প্রচুর ভিড় ছিল।’

  • Link to this news (এই সময়)