খাট, বিছানা যৌতুক দিতে না পারায় বিয়ের এক মাসের মাথায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর থানা এলাকায়। এক মাস আগে সেখানকার বাসিন্দা সীতা মণ্ডল (১৮)-এর সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় সোনারপুর থানা এলাকার কালিকাপুর মুড়োগাছির বাসিন্দা অরূপ নস্করের। ১৭ নভেম্বর তাঁদের বিয়ে হয়।
অরূপ কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করত। সীতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁদের পরিবারের মেয়ের উপর অত্যাচার করা হতো। ২৪ ডিসেম্বর রাতে শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন সীতা। ২৫ ডিসেম্বর সকালে বারবার তাঁর বাবা ও মা ফোন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সীতাকে ফোনে পাননি তাঁরা। এরপর দুপুরবেলা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় সীতার মৃত্যুর কথা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানিয়েছিল, গলায় ওড়না লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সীতা। যদিও তা মানতে নারাজ তরুণীর পরিবার।
সীতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য চাপ দেওয়া হতো সীতার উপরে। খাট দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল বরের বাড়ির পক্ষ থেকে। তা দিতে পারেনি সীতার পরিবার। এরপরেই তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার চালানো হতো বলে অভিযোগ সীতার মা-বাবার।
ঘটনায় স্বামী অরূপ নস্কর, শ্বশুর প্রণব নস্কর, ভাসুর স্বরূপ নস্কর, বউদি পুজা নস্করের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন সীতার পরিবার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি ক্রাইম ফয়সেল বিন আহমেদ জানান, সীতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে।