এই সময়, ডায়মন্ড হারবার ও বকখালি: শীতের মিঠে রোদে নদীর পাড়ে পিকনিক সারেন অনেকে। কেউ আবার শুধু ঘুরতেও আসেন। ডায়মন্ড হারবারে হুগলি নদীর পাড়ে ইংরেজদের তৈরি কেল্লার টানে প্রতি বছর জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বহু পর্যটক আসেন। বড়দিন উপলক্ষে বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন–সহ সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরা। তার মধ্যে ডায়মন্ড হারবার ও বকখালিতে বেশি ভিড় হয়।
এ দিন সকাল থেকে ডায়মন্ড হারবারের পুরোনো কেল্লার মাঠে মানুষের ঢল নামে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আগেভাগে কেল্লার মাঠ সাজিয়ে তুলেছিল পুরসভা। পর্যটকদের জন্য মাঠে বসানো হয় একাধিক তাঁবু ও ছাউনি। সেই ছাউনির নীচে পিকনিক করেন অনেকে।
নানা স্বাদের খাবারের পাশাপাশি নাগরদোলা ও বিভিন্ন রকম বিনোদনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে কেল্লার টানে যে সব পর্যটকরা ডায়মন্ড হারবার এসেছিলেন তাঁদের অনেকেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন। ব্রিটিশদের তৈরি চিংড়িখালি ফোর্টের অধিকাংশ এখন নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। কেল্লা বলতে নদীর পাড়ে পড়ে থাকা ভগ্নপ্রায় কয়েকটা দেওয়াল মাত্র।
ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি বকখালির সমুদ্র সৈকতেও ছিল পর্যটকদের ভিড়। বড়দিনে সমুদ্র স্নানের হিড়িক লেগে যায়। সমুদ্র সৈকত জুড়ে নানা ধরনের খাবারের স্টল বসেছিল। সমুদ্রতটে বসে মাছভাজা খেতে খেতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান অনেকে। ঝাউবনে পিকনিকে ব্যস্ত ছিল একের পর এক গ্রুপ।
তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সমুদ্র সৈকত জুড়ে টহল দেয় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা। মোতায়েন করা হয় সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদেরও। বড়দিনে পর্যটকদের ভিড় হওয়ায় শীতের মরশুমের শুরুতেই আশার আলো দেখছেন স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা।
কুলতলির কৈখালি জেটিঘাট থেকে এ দিন সকালে মাতলা নদীতে বোটে চেপে সুন্দরবনে পাড়ি দিয়েছেন পর্যটকরা। কৈখালিতে পিকনিকের আসরও বসে। একদিকে পিকনিকের রান্নার কাজ করতে ব্যস্ত মানুষজন। আর এক দিকে এলাকা পরিষ্কার রাখতে মাইকে প্রচার চালায় কুলতলি পুলিশ। পাশাপাশি বেড়াতে আসা মানুষকে সতর্কও করেন তাঁরা।