আজকাল ওয়েবডেস্ক: বৃহস্পতিবার বহরমপুরের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগে সিনিয়র রেসিডেন্ট পদে কর্মরত এক ডাক্তারকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকাকে বহরমপুরের ডেকে এনে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন ওই জাক্তার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ দিন অভিযুক্ত ডাক্তার বহরমপুরে সিজেএম আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বেলঘরিয়ার বাসিন্দা অভিযুক্ত ডাক্তারের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে বেশ কয়েকবছর আগে মহিলার পরিচয় হয়। নির্যাতিতা কলকাতার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন তাঁরা ফোনে এবং সমাজমাধ্যমে কথা বলার পর চলতি বছর অক্টোবর মাসে দেখা করেন। অভিযোগ সেই সময়ই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ওই চিকিৎসক তাঁর প্রেমিকাকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ করেন।
গত ৯ ডিসেম্বর বহরমপুর থানায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন ওই ডাক্তার। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, নতুন করে বহরমপুরের সিজেএম আদালতে জামিনের আবেদন করতে হবে অভিযুক্ত ডাক্তারকে।
সেই নির্দেশ মোতাবেক এ দিন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই ডাক্তার সিজেএম আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত সিজেএম সেই আবেদন নাকচ করে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের আইনজীবী মনিশঙ্কর চ্যাটার্জি বলেন, "ডাক্তারের বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনও মেডিক্যাল এভিডেন্স নেই। কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপে দু'জনের মধ্যে কিছু মেসেজ চালাচালির মাধ্যমে যে কথাবার্তা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে এক মহিলা, ডাক্তারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন।" মনিশঙ্করবাবুর দাবি,"গত ৮ অক্টোবর ডাক্তারের সঙ্গে ওই মহিলার কলকাতার একটি হোটেলে দেখা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। তার প্রায় দু'মাস পর কেন তিনি কলকাতা থেকে বহরমপুরে এসে ৯ ডিসেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ করলেন তা কারও বোধগম্য হচ্ছে না। সত্যিই যদি ধর্ষণের মত কোনও ঘটনা হত তাহলে তিনি কেন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন না। আমরা নিম্ন আদালতের এই নির্দেশিকা নিয়ে জামিনের জন্য ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছি।"