কষ্টের দিন ফুরল, বলছেন চাঁচলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তারা
বর্তমান | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, চাঁচল: স্বামী মারা গিয়েছেন দশ বছর আগে। ভাঙাচোরা বেড়ার উপরে টিনের চালার এক চিলতে ঘর। বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে জল চুঁইয়ে পড়ে। আর শীতে কনকনে ঠান্ডায় ঘরের মধ্যে জবুথবু হয়ে বসে রাত কাটান। মায়ের দুর্দশা দেখতে না পেরে একমাত্র ছেলেও গিয়েছেন মুম্বইয়ে কাজের খোঁজে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের তরফে খুশির বার্তা পেলেন চাঁচল-২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাইপুরের উর্মিলা নুনিয়া। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বরাদ্দ পাবেন শুনেই আনন্দে কেঁদে ফেললেন তিনি। টোটোয় চেপে পঞ্চায়েত দপ্তরে হাজির হন তিনি। তাঁর হাতে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অনুমোদনপত্র তুলে দেন পঞ্চায়েতের প্রধান ছবি সরকার। উপস্থিত ছিলেন চাঁচল-২ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম সহ অন্যরা। এদিন পঞ্চায়েতের তরফে ২১৭ জন উপভোক্তাকে বরাদ্দের অনুমোদনপত্র দেওয়া হয়। প্রধান বলেন, যোগ্যরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন এলাকায়। তাঁদের মোবাইলে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মেসেজ চলে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই নির্মাণের টাকা পাবেন।
এদিন অনুমোদনপত্র পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন উর্মিলা। তিনি বলেন, এতদিন ভাঙাচোরা ঘরে দিন কাটিয়েছি। একমাত্র ছেলে বাড়ি করার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছে। তবে, আমাদের স্বপ্ন পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। তাঁকে অনেক ধন্যবাদ। পঞ্চায়েতের যদুপুরের উপভোক্তা আজিমুদ্দিনের গলাতেও রাজ্য সরকারের প্রশংসা। তাঁর কথায়, ভুটভুটি চালিয়ে পরিবারের চার সদস্যের খাবার জোটাতাম। দৈনিক তিনশো টাকা উপার্জন হয়। পুরনো টিনের বেড়া ও ছাউনিতে মরচে ধরেছে। টাকার অভাবে মেরামত করতে পারিনি। এবার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পাওয়ার মেসেজ ও অনুমোদনপত্র পেয়ে গিয়েছি।