দু’মাসে লক্ষ্যমাত্রার ২৫ শতাংশ ধান কিনেছে খাদ্যদপ্তর
বর্তমান | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে ধান কেনার কাজে কি গতি নেই? এই প্রশ্ন উঠছে। কারণ গত দু’মাসে খাদ্যদপ্তর জেলায় মাত্র ২৫ শতাংশ ধান কিনতে পেরেছে। অথচ অসম সীমান্তে রাজ্যের এই প্রান্তিক জেলায় এবছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ২০ হাজার মেট্রিক টন। ৩ নভেম্বর থেকে জেলায় ধান কেনা শুরু হয়েছে। সেখানে গত দু’মাসে জেলায় মেরেকেটে মাত্র ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনতে পেরেছে খাদ্যদপ্তর।
ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যাবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। মার্চ মাস পর্যন্ত ধান কেনা চলবে। যদিও জেলা খাদ্যদপ্তর এই সংশয় সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক সুব্রত নন্দী বলেন,মার্চ পর্যন্ত ধান কেনার কাজ চলবে। ফলে দু’মাসে ২৫ শতাংশ ধান কেনা হলেও এখনই এতটা উদ্বেগের কিছু নেই। তাছাড়া, এবছর বোরো ধানও কেনা হবে।
জেলা কৃষিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, আলিপুরদুয়ার জেলায় ধান চাষের এলাকা ৯৪ হাজার ১৪ হেক্টরের মতো। তারপরেই আছে চা বাগান ও বনাঞ্চল এলাকা। আছে অনাবাদি পতিত ও জলা জমিও। জেলার ছ’টি ব্লকের মধ্যে কালচিনি, কুমারগ্রাম ও মাদারিহাট চা বাগান ও জঙ্গল ঘেরা ব্লক। এর মধ্যে কালচিনি ব্লকে আবার ধান কেনা হচ্ছে না। ফলে খাদ্যদপ্তর দাবি করলেও ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা আদৌ ছোঁয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের মধ্যে।
এবছর খাদ্যদপ্তর জেলায় ১১টি সরকারি ধান ক্রয়কেন্দ্র খুলেছে। মোবাইল ধান ক্রয়কেন্দ্র রয়েছে চারটি। ৩০টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী ধান কিনছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতিকেও ধান কেনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলায় ১৪টি রাইস মিল রয়েছে। ফলে ধান রাখার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছে খাদ্যদপ্তর। কিন্তু দু’মাসে মাত্র ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার কাজ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।