এই সময়, গোঘাট: পাঁচ সদস্য পঞ্চায়েত অফিসে আসেন না বলে অভিযোগ। তাই তাঁদের এলাকায় কোনও রকম উন্নয়নমূলক কাজ করা যাচ্ছে না বলে মাইকে প্রচার করছেন পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যরা। গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।
কিন্তু এ ভাবে পঞ্চায়েত থেকে মাইকে প্রচার করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে ওই পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, তাঁরা পঞ্চায়েত অফিসে গেলেও তাঁদের কোনও কাজে ডাকা হয় না। তাঁদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে আলোচনাও করা হয় না। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল গোঘাটে।
অভিযোগ, গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়ন ও অন্য সাধারণ মিটিংয়ে পাঁচ সদস্য হাজির হচ্ছিলেন না। তাই ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা মাইকে প্রচার করেন। তাঁরা গ্রামের মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘এলাকার কোনও উন্নয়নমূলক কাজ না হলে দায়ী এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা কোনও মিটিংয়েই যোগ দিচ্ছেন না। এরপর এই এলাকার মানুষের পঞ্চায়েতের শংসাপত্র পেতে অসুবিধায় পড়তে হবে।’
পাল্টা পাঁচ সদস্যের অভিযোগ, মিটিংয়ে গিয়ে কোনও লাভ হয়নি। তাঁদের কোনও কথা শোনা হয় না। প্রধান আল্পনা রায় এলাকার অঞ্চল সভাপতি সদরুজ্জারের মদতে নিজেদের মতো করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল। মাইকে প্রচারের সময়ে বলা হয়েছিল যদি ওই মিটিংয়ে পাঁচ জন হাজির না হয় তা হলে এলাকার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় শংসাপত্রও আটকে দেওয়া হবে। কিন্তু সদস্যদের দাবি, এ দিন কোনও মিটিং ডাকাই হয়নি।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘এরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব করছে। এ দিকে, এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। আসলে সর্বত্র কাটমানি নিয়ে সমস্যা।’ পঞ্চায়েত প্রধান আল্পনা রায় বলেন, ‘কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। কিছু সমস্যা হয়েছিল। ওঁদের আহ্বান করা হয়েছে। মাইকে প্রচার করে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’