এই সময়, বাঁকুড়া: সদস্য সংগ্রহে মোদী জ্যাকেট ও নগদ আর্থিক পুরস্কার ‘ঘোষণা’ করলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। এই মর্মে বিজেপির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিধায়কের পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যে ওই পোস্টটি (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’) ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রের খবর, বিতর্কের জেরে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সেই পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছেন বিধায়ক।
নীলাদ্রিশেখর তাঁর সেই পোস্টে লেখেন, ‘বাঁকুড়া বিধানসভার মধ্যে যে সকল বুথ সভাপতি নিজ নিজ বুথে আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে ১৫০ জন করে সদস্য সংগ্রহ করবেন সেই বুথ সভাপতিদের একটি করে মোদী জ্যাকেট দেওয়া হবে। আর যে বুথ সভাপতিরা ৭৫টি করে সদস্য সংগ্রহ করবেন তাঁদের হাতে নগদ ১০০ টাকা করে অর্থ প্রদান করা হবে।’
বিধায়কের এই পোস্ট ঘিরে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপির অন্দরেও বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা। যদিও বিজেপি বিধায়ক এতে অন্যায়ের কিছু দেখছেন না।
তাঁর বক্তব্য, ‘বুথ স্তরের নেতা–কর্মীদের উৎসাহ দিতেই আমি পুরস্কারের কথা বলেছি। কেউ ভালো কাজ করলে তাঁকে উপহার স্বরূপ কিছু দেওয়া যেতেই পারে। এর মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। এটা নিয়ে অযথা বিতর্কের কোনও মানে হয় না।’
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেন, ‘ভালো কাজের জন্য আমরাও কর্মীদের সংবর্ধিত করে থাকি। তবে আমাদের পার্টিতে নগদ অর্থ দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। বিধায়কের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। কর্মীদের উৎসাহ দিতেই মোদী জ্যাকেট ও উত্তরীয় দেওয়ার কথা বলেছেন বলে উনি জানিয়েছেন।’
এ দিকে, বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিজেপির কোনও জনসমর্থন নেই। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই অর্থের টোপ দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতে হচ্ছে।’ উল্লেখ্য, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলায় প্রায় এক লক্ষ সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি।