• সেনাবাহিনীর প্রতি টান থেকেই ‘মিশন ১০০’, গুরুদক্ষিণা ছাড়াই ভবিষ্যতের ‘অগ্নিবীর’ তৈরি করছেন হারাধন
    এই সময় | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • বিহারের অঙ্কের শিক্ষক আনন্দ কুমারের কথা মনে আছে? ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশিক্ষণের জন্য শুরু করেছিলেন ‘সুপার ৩০’। তাঁর পথচলার গল্প নিয়ে তৈরি হয় বলিউড সিনেমাও। অনেকটা সেরকমই ‘মিশন ১০০’ টার্গেট নিয়েছেন বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের যুবক হারাধন কর্মকার। উচ্চতার জন্য নিজে যোগ দিতে পারেননি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। স্বপ্নপূরণের রাস্তার অভিমুখ বদল করে নেন তখনই। মনস্থির করে নেন, ‘আমি যেতে পারিনি তো কী হয়েছে? ট্রেনিং দিয়ে ১০০ জনকে ইন্ডিয়ান আর্মিতে কাজের যোগ্য করে তুলব।’ সেই থেকে লড়াই শুরু। ভবিষ্যতের ‘অগ্নিবীর’ তৈরি করছেন ‘যামিনী রায় কলেজ পাঠশালা’য়।

    বেলিয়াতোড় যামিনী রায় কলেজের শিক্ষাকর্মী হারাধন। কলেজের কাজ থেকে ছুটি পেলেই সোজা চলে যান লাগোয়া পাশের মাঠে। ততক্ষণে সেখানে হাজির হয়ে যান ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানে ইচ্ছুক এলাকার বহু ছেলেমেয়ে। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দৌড়, জাম্প-সহ নানা ট্রেনিং দিয়ে থাকেন তাঁদের। এর জন্য কোনও পারিশ্রমিক নেন না। বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিতে পেরে খুশি এলাকার ছেলেমেয়েরাও।

    হারাধন এই প্রশিক্ষণ শিবির খুলে সাফল্য পেয়েছেন অল্পদিনেই। ইতিমধ্যে হারাধনের পাঠশালায় প্রশিক্ষণ নিয়ে সেনাবাহিনীর ‘অগ্নিবীর’-এর প্রথম ব্যাচে ৪ জন, দ্বিতীয় ব্যাচে ৮ জন সুযোগ পেয়েছেন। জেলার প্রথম মহিলা ‘অগ্নিবীর’ সুস্মিতা সিট এবং ইণ্ডিয়ান নেভিতেও সুযোগ পাওয়া জেলার প্রথম মহিলা এই শিবির থেকেই ট্রেনিং নিয়েছিলেন বলে দাবি হারাধনের।

    ‘গুরু’ হিসেবে হারাধনদা'কে পেয়ে খুশি এলাকার ছেলেমেয়েরাও। অরিজিৎ মাল, জীবন দাসরা বলেন, ‘প্রথম থেকেই দাদা আমাদের উৎসাহ দিয়ে আসছেন। আগামী ৬ জানুয়ারি আমাদের অগ্নিবীর প্রকল্পে শারীরিক পরীক্ষা রয়েছে। সে কারণেই আমরা এখানে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। যাবতীয় সরঞ্জাম থেকে প্রশিক্ষণের জন্য আমাদের কোনও অর্থ ব্যয় হয় না।’

    টার্গেট সেট করে নিয়েছেন হারাধন। তাঁর কথায়, ‘অন্তত ১০০ জনকে সেনাবাহিনীতে যোগদানের উপযুক্ত করে তৈরি করব। সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগোচ্ছি। বেশ কয়েক জন এখান থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগে।

  • Link to this news (এই সময়)